শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৪৫ দুপুর
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উন্নয়ন ও দুর্নীতি জমজ ভাই: ইকবাল মাহমুদ

সারোয়ার জাহান : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়ন এবং দুর্নীতি সম্ভবত যমজ ভাই। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক যদি সঠিকভাবে কাজ কর- তাহলে অবশ্যই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব। মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি কর্মকর্তা, সিভিল সোসাইটি, মিডিয়াসহ আমরা সবাই যদি সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করি তাহলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা অসম্ভব নয়।

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাজের মান বেড়েছে। তবে তাদেরকে কাজে আরও অধিকতর মনোনিবেশ করতে হবে। তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধিতে কমিশন যেসকল নির্দেশনা দিয়েছে তা অনুসরণ করতে হবে। কোনো মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্ত আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে সম্পন্ন করতে হবে। যাতে অভিযোগটি আদালতে প্রমাণ করা যায়।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা এমন কোনো কাজ করতে চাই না-যে কাজে কোনো ফল আসবে না। অথবা যে কাজ আমরা শেষ করতে পারবো না। আদালতে প্রমাণ করতে পারবো না। কখনই বলবো না-আমরা সফল হয়েছি। আমাদের ব্যর্থতা আছে এবং তা আমরা নিয়মিত পর্যালোচনা করি। যাতে আমরা আরো পরিশুদ্ধভাবে কাজ করতে পারি। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধ করতে হবে। একারণেই কমিশনে দুর্নীতি প্রতিরোধে অধিকতর গুরুত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, অনেক সমালোচকদের সাথে আমিও একমত-যে অনেক বড় দুর্নীতিবাজদের কাছে হয়তো আমরা এখনও যেতে পারিনি। তবে সকলকে এটাও মনে রাখতে হবে, পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে, যদি আমরা এদের ধরতে হাত বাড়াই, তাহলে এ হাত তুলে আনবো না, মাঝ পথে থেমে যাব না।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশের প্রায় ২২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা সংঘ গঠন করেছে এবং উত্তম চর্চার বিকাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর স্থাপন করছে।

তিনি বলেন, তথাকথিত কোচিংয়ের মাধ্যমে ‘ক্যাপসুল মার্কা’ শিক্ষা আমরা চাই না। আমরা এমন শিক্ষা চাই, যাতে আমাদের সন্তানেরা সক্ষম নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে।

এসময় কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ বলেন, সরকারি সেবা নিতে গিয়ে মানুষের চোখে কান্নার পানি আমরা দেখেছি। আমরা এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণশুনানিসহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি।

কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ২০১৬ সালে যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন কমিশনের মামলায় সাজার হার ছিল ৩৭ শতাংশ, যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. মো. জাফর ইকবাল প্রমুখ।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কমিশনের ত্রয়োদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। পরিবর্তন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়