আফসান চেীধুরী : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা বিএনপির জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে। বিএনপি সেই পুরনো ধ্যান-ধারণার মধ্যে আটকে আছে। তারা মনে করে, জামায়াতে ইসলামী ধর্মীয় দল। ধর্মকে পুজি করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে। আসলে কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। মানুষ জেনে গেছে, জামায়াতে ইসলামী খুন-খারাপির দল, স্বাধীনতা বিরোধী দল। তরুণ প্রজন্মের কাছে জামায়াতে ইসলামীর কোনো জায়গা নেই।
জামায়াতকে সঙ্গে রেখে বিএনপির কি লাভ হয়, তা বিএনপি নিজেই জানে না। কেউ বলতে পারবে না, জামায়াতকে দিয়ে বিএনপির কি লাভ হয়? জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আগামী নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগের হাতে একটা অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। কেনো এমনটা করছে, সে বিষয়টা বুঝতে পারছি না। বিএনপি কি জানে না জামায়াতের জনপ্রিয়তা নেই? তিন থেকে পাঁচ ভাগের বেশি তাদের ভোট ওঠে না? বাংলাদেশে জনপ্রিয় হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতের ভোট ব্যাংক আছে। আর হেফাজতকে দখল করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এটা কি বিএনপির চিন্তা চেতনায় আসে না, তাদের মাথায় কি কিছু নেই? এই রাজনীতিতে প্রমাণ করে বিএনপি কত পুরনো কিসিমের একটা রাজনৈতিক দল। রীতিমতো প্রভাবহীন, খুনি, স্বাধীনতা বিরোধী একটা গোষ্ঠীকে ধরে বিএনপি এখনো পড়ে আছে। বিএনপির ধারণা এদেশের মানুষ মুসলমান। তাই এদেশের মানুষ জামায়াতকে ভোট দেবে।
তারা কি দেখতে পায় না- জামায়াতের বদলে এখন বালাদেশের প্রধান ধর্মীয় দল হেফাজতে ইসলাম এবং হেফাজত সমর্থন করে আওয়ামী লীগকে। হেফাজত থাকতে মানুষ জামায়াতকে কেন ভোট দেবে? তরুণ প্রজন্মের কেউ জামায়াত করে না, হেফাজত করে। এটা দেখেই বুঝা যায়, এতো বছরেও বিএনপি কেনো ক্ষমতায় ফিরতে পারে না। বিএনপির নিজেদের মাঝেই জামায়াতকে নিয়ে বিভক্তি আছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির এমন ঘোষণা তাদের জন্য ধ্বংস ডেকে আনবে।
পরিচিতি : সাংবাদিক ও গবেষক
মতামত গ্রহণ : লিয়ন মীর
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :