শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ০৭:৪৩ সকাল
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ০৭:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তনুর পরিবারকে ঢাকায় ডেকেছে সিআইডি

ডেস্ক রিপোর্ট : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনুর খুনিরা ২০ মাসেও ধরা পড়েনি। দীর্ঘ এই সময়ে মামলার দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতিও নেই। এদিকে বুধবার ঢাকা সিআইডি অফিসে যাওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে তনুর পরিবারকে। সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম জানান, আসামিদের আইনের আওতায় না এনে বারবার আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। সোমবার কুমিল্লা সিআইডি অফিস থেকে একটি চিঠি এসেছে। আমার স্বামী, দুই ছেলে ও তনুর চাচাতো বোনকে নিয়ে ঢাকা যেতে বলেছে সিআইডি।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সার্জেন্ট জাহিদ আর তার স্ত্রীকে আইনের আওতায় আনলে হত্যার ঘটনা বেরিয়ে আসবে। কারণ তাদের বাসায় টিউশনি করতে যাওয়ার পরই তনুর মরদেহ জঙ্গলে পাওয়া যায়।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ বরাবরের মতো বলেছেন, ‘তনু হত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করতে সিআইডি কাজ করে যাচ্ছে।’ তদন্তের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। এদিকে তনুর পরিবারকে ঢাকা যাওয়ার চিঠির বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না বলেও জানান।

এর আগে, সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি বলেও সিআইডি জানায়। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।

গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার সংগঠক খায়রুল আলম রায়হান জানান, দীর্ঘদিন মামলাটি সিআইডিতে পড়ে আছে। মামলার কোনও অগ্রগতি নেই। সিআইডির কাছে মামলা যাওয়া মানে হিমাগারে রেখে দেওয়া।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় কুমিল্লা সিআইডি।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়