সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা এইডসে আক্রান্ত!
রিকু আমির : মিয়ানমারে জনসংখ্যা পাঁচ কোটি ২০ লাখের মধ্যে এইচআইভি বা এইডস নিয়ে বসবাসকারী দুই লাখ ৩০ হাজার। এ হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এইচআইভি বা এইডস নিয়ে বসবাসকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার।
এইচআইভি সংক্রমিত রোহিঙ্গা শনাক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সরকারের জাতীয় এইডস/এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে উদ্বেগজনক তথ্য পাওয়া গেছে।
ইউএনএইডসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে নতুনভাবে দেড় হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছিল, মিয়ানমারে ১১ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী- আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন করে আরও ১৮ জনের দেহে এইচআইভি বা এইডস এর জীবাণু পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এইচআইভি বা এইডসে আক্রান্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৭৯জনে দাঁড়িয়েছে।
আক্রান্তরা ২ থেকে ৫৫ বছর বয়সী জানিয়ে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম বলেন, ৫১ জন মিয়ানমারেই শনাক্ত হয়েছিল।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা না নিলে কক্সবাজারসহ সারাদেশে এইচআইভি বা এইডস ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জাতীয় এইডস/এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোহিঙ্গাদের এইচআইভি আক্রান্ত সন্দেহ হলে তাদের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা হাসপাতাল এবং কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠাতে বলা আছে। কিন্তু এইচআইভি পরীক্ষার সুযোগ তিনটি সরকারি হাসপাতালে থাকলেও স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গারা সেখানে আসছে না।
আনিস/
আপনার মতামত লিখুন :