শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ০৯:৫৩ সকাল
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ০৯:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধিকার রক্ষায় শিশুদেরই সরব হতে হবে

ফারমিনা তাসলিম: ‘নেতৃত্বে শিশুরা’ প্রতিপাদ্যে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশু দিবস। জাতিসংঘ বলছে, সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনীতি, ব্যবসা, খেলাধুলা ও বিনোদন সব বিষয়ে শিশুদের ভূমিকা থাকতে হবে। সংস্থাটি বলছে, নিরাপদ জীবন ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনে স্কুল ও সমাজে শিশুদেরকেই সরব হতে হবে। সূত্র- বিবিসি বাংলা

শিশু সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেন বাংলাদেশ শিশু আধিকার ফোরামের পরিচালক আব্দুস সহিদ মাহমুদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশই শিশু। শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয়ভাবে যেসব নীতি গ্রহণ করা হয় সেখানে তাদের ভূমিকা কতটা থাকতে পারে, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেকোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ামহ তাদের কথা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয় কিনা বা আদৌ তাদের কথা বলার সুযোগ থাকে কিনা তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক জনগোষ্ঠী শিশু। তারপরেও রাষ্ট্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে শিশুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যখন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুদের মতামত গ্রহণের সুযোগ থাকে না।

এ ক্ষেত্রে আমরা যখন শিশুদের অধিকারের কথা বলি সেটাকে শিশুরা কিভাবে দেখছে বা তারা কিভাবে সেটাকে রক্ষা করতে চায়, সে বিষয়ে শিশুদের মতামত গ্রহণ করা হয় নাকি নীতিনির্ধারকরা তাদের নিজেস্ব চিন্তাভাবনাটা শিশুদের ওপর চাপিয়ে দেন?

জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ প্রধান ৪টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়। তার মধ্যে একটি অধ্যায় হলো শিশুদের অংশগ্রহণ। অর্থাৎ শিশুরা তাদের বিষয়ে যখন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তখন সেখানে তাদের অংশগ্রহণ থাকবে, এমনকি তারা মতামতও দিবে। এই প্রক্রিয়া আমাদের দেশের কোন পর্যায়েই গড়ে ওঠেনি। শিশুরা নিজেদের বিষয়ে মতামত দেয়া সুযোগ না পেলে বড়দের সিদ্ধান্তটা বড়দের হয়ে যায়। এতে তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক হয় না। সিদ্ধান্তটা নীতি নির্ধারকরাই দিবে কিন্তু শিশুদের মতামতটা গ্রহণ করা উচিৎ।

পশ্চিমা দেশগুলোতে কাউন্সিল থাকে এবং শিশুরা সেখানে তাদের মতামত দেয়। অনেক রকমের কাজ তারা নিজেরাই করে এবং এই প্রবণতা থেকে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তৈরি হয়।বাংলাদেশের কোন বিদ্যালয়ে এইরকম প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়?

জবাবে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি বিদ্যালয়ে এমন কোন প্রক্রিয়া গড়ে ওঠেনি। তবে কিছু স্কুলে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সংগঠন ধরণের কিছু প্রক্রিয়া চলে, তবে তা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নয়। কিন্তু সেখানে তাদের নেতৃত্বের বিকাশ, তাদের মতামতের গ্রহণের প্রক্রিয়া বিবেচনা করা হয় না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়