অরণ্য কাশ্যপ: ২০০৫ সাল থেকে পর পর তিনবার জার্মান চ্যান্সেলর পদে থাকা অ্যাঞ্জেলা মার্কেল চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনে অনিশ্চয়তার মুখে পরেছেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন মাত্র ৩২.৯ শতাংশ ভোট পায়। সরকার গঠনের জন্য মার্কেল ‘ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এফডিপি)’ এবং ‘দ্য গ্রিনস’ দলের সঙ্গে জোট গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, যা ‘জ্যামাইকা জোট’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
সোমবার মার্কেল বলেন, যে তিনটি উপায়ে জোট গঠনের চেষ্টা করা হয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। এমন অবস্থায় জার্মানি একটি রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি, যা ইউরোপের অন্যতম উন্নত দেশটিকে সম্ভাব্য নতুন নির্বাচনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
মার্কেলের রক্ষণশীল দল ও পরিবেশবাদী দল ‘দ্য গ্রিনস’ এর সঙ্গে চার সপ্তাহব্যাপী চলা আলোচনা অপ্রত্যাশিতভাবে শেষ করে দেয় স্থানীয় ‘ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এফডিপি)’। এফডিপি নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার জানান, জোটবদ্ধ হওযার আশায় তিন দল রোববার পর্যন্ত প্রধান ইস্যুগুলোতে কোন ঐক্যমতে আসতে না পারায় আলোচনা প্রত্যাহার করেছে এফডিপি।
এদিকে মার্কেল বলেন, এ সংকট সমাধানের আগ পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত চ্যান্সেলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টাইনমেয়ার এর পরামর্শ নিবেন। তিনি জোটবদ্ধ হওয়া নিয়ে আশাবাদ ব্যাক্ত করে মার্কেল সাংবাদিকদের জানান, ‘এখন জার্মানির এগিয়ে যাওয়ার দিন, চ্যান্সেলর হিসাবে আগামী দিনগুলোতে আমি দেশটি ভালভাবে পরিচালনা করতে চাই।’
নারী নেত্রী হিসেবে স্থিতিশীলতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। কর্মজীবনের উল্লেখযোগ্য ১২ বছর ক্ষমতায় থেকে, অর্থনৈতিক সংকটের সময় ইউরোপকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসী আগমন বন্ধ করার চুক্তি নিয়েও পদক্ষেপ নেন তিনি। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :