মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে আজ (সোমবার/২০ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া-ইউরোপ মিটিং বা আসেম সম্মেলন। দুই দিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের অগ্রগতি সম্পর্কে বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এ সম্মেলনে মিয়ানমার ও চীনের কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। দু’পক্ষেরই সুবিধাজনক জায়গাগুলো মাথায় রেখে সমস্যা সমাধান হতে পারে। অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলো, যারা রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় না, তারা চাইবে মিয়ানমার যতদিন রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি না হবে ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশই তাদের দায়িত্ব নেবে।
যেহেতু জাতিসংঘের শক্তিধর দেশগুলোর বাধার মুখেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তাহলে আসেম সম্মেলনে সংকট সমাধান বিষয়ে আশাবাদের কারণ কী?
প্রশ্নের জবাবে রোজানা রশীদ বলেন, আমি আশা করছি না। যেহেতু বিষয়টি আলোচনায় আসবে তাই বলছি সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ রোহিঙ্গা সংকটের কাছাকাছি সময়ই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা মনোযোগ না দেয় তবে বাংলাদেশ রেগে গেলে কিন্তু সবারই অসুবিধা হবে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় মধ্যস্ততার জায়গায় আছে। হয়তো মিয়ানমারের ওপরে চাপ আসতে পারে।
সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে সফর করে গেছেন। এরপরে চীনের কি কোনো অবস্থানের পরিবর্তন হতে পারে?
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমি কোনো আশা করি না। তারা এমন কোনো কথা বলেনি যা থেকে আশা করা যায় চীন বাংলাদেশের পক্ষে হয়ে মিয়ানমারকে কিছু বলবে। চীন শুধু সমস্যার কিছুটা সমাধার হওয়ার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে।
চীনের কোনো পরিবর্তন যদি না দেখেন তবে আসেম সম্মেলন বা অন্যকোথাও কি এই সংকটের অবসান হবে বলে আপনার মনে হয়?
তিনি বলেন, সমাধান বলতে আমরা শুধু রোহিঙ্গাদের নাগরিত্ব দিয়ে দেশে ফিরিয়ে নেয়াকে বুঝি। কিন্তু সমাধান অনেকভাবেই করা সম্ভব। আমরা যদি আসেম সম্মেলন থেকে এ বিষয়ে কোনো রূপরেখা বা প্রস্তাবনা পাই- সেটাই ভাবছি।