খুশী কবির : দারিদ্র্য থেকে ন্যূনতম মুক্তির জন্য প্রতি বছর বহুসংখ্যক নারী শ্রমিক বিদেশে যাচ্ছেন কাজ করতে। কোথায় যাচ্ছেন, কী কাজ, ভিনদেশি ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে বলতে গেলে তেমন কোনো তথ্য না জেনে এবং নামমাত্র প্রশিক্ষণ নিয়েই তারা যাত্রা করছেন সম্পূর্ণ অনিশ্চিত গন্তব্যে।
প্রায়ই এই নারী শ্রমিকদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন-ধর্ষণের খবর এবং প্রতারণার শিকার হওয়ার কথা আমরা জানতে পারি। এমনকি ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর খবরও পাই। কিন্তু এত সব খবর জেনেই বা আমরা কী পদক্ষেপ নিচ্ছি? কতটুকু পাশে দাঁড়াতে পারছি শ্রমিকদের?
এসব নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আশ্বাসও দেন কর্তৃপক্ষ, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার কতটা বাস্তবায়ন হয়, তা বলাই বাহুল্য।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশে এবারই প্রথমবারের মতো একটি গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকরা বলবেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসন নিয়ে কর্মরত কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ ‘বিচারকরা’ তাদের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেবেন। বিচারকম-লির মধ্যে থাকছেন বিচারপতি অব. নাজমুন আরা, বিচারপতি অব. নিজামুল হক এবং শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের আহ্বায়ক ড. হামিদা হোসেন।
গত ১৮ নভেম্বর শনিবার বেলা আড়াইটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটির আয়োজক ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং (উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি) বাংলাদেশ। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলনের নাম। ২০১৩ সালে এর যাত্রা শুরুর পর থেকে বিশ্বের ২০০টি দেশ এতে অংশ নিচ্ছে।
লেখক : সমন্বয়কারী, ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং (উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি), বাংলাদেশ এবং নিজেরা করি
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :