স্থানীয় সরকার বলেন আর জাতীয় নির্বাচন বলেন, সব নির্বাচনেই ব্যক্তির ইমেজ একটা ফ্যাক্টর হয়ে থাকে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে আমরা সেমিফাইনাল হিসেবে গ্রহণ করেছি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটা আলোর সন্ধান পাবো। এতে আমরা একটা সংকেত পাবো। সেটা হলো জাতীয় নির্বাচনের সংকেত। সে আশাবাদের আলোকে সাংগঠনিক কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ভোটার ও জনগণের কাছে যাচ্ছেন। আমরা মনিটরিং করছি। কোন প্রার্থীর ডোর টু ডোর জনসম্পৃক্ততা আছে, সেটা দেখছি। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। গতবার আমরা ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেরেছি। এতে তারা জয়ী হয়েছে। আমরা বিজয়ী হয়েছি এক জায়গায়। আমাদের সম্পর্কে বিএনপির অভিযোগ ছিল, শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। ভোটাররা ভোট দিতে পারবে না। তাদের যে এ অভিযোগ ছিল, এটা অন্তঃসারশূন্য।
এগুলো যে মিথ্যাচার ছিল, এটা কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদিক থেকে আমাদের নৈতিক বিজয় হয়েছে। এটির দুটো দিক আছে। আগামী নির্বাচনাটায় আমরা চাইবো, আমাদের যে ত্রুটিগুলো ছিল, ভুল ছিল তা শুধরিয়ে নিতে। কোথায়, কেন, কী কারণে হেরেছি? সেগুলোকে পোস্টমোর্টেম করে আমরা কিন্তু বের করেছি। সেটা বের করে আমরা সারসংক্ষেপ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী নির্বাচনে এই কারণগুলো যেন হারার ক্ষেত্রে কারণ না হয়। প্রার্থী নির্বাচনে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রার্থী মনোনয়নে যার ভালো ইমেজ আছে, তাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি বলে তিনি জানান।
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :