শিরোনাম
◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ০৩:০২ রাত
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ০৩:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অভিজিৎ হত্যার ঘটনায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মিডিয়া উইং গ্রেফতার

নুরুল আমিন হাসান: রাজধানীতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকা প্রবাসী মুক্তমনা লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ইনটেলিজেন্স উইং এবং মিডিয়া উইংয়ের প্রধান মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার বলে জানা যায়।

তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া বাদালদী এলাকা থেকে শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একটি টিম। তবে বিষয়টি রোববার সন্ধ্যায় আমাদের সময় ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান।

তিনি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বরাত দিয়ে জানান, আসামী মোজাম্মেল হুসাইন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম (আনসারুল­া বাংলা টিম) ইনটেলিজেন্স উইং এবং মিডিয়া উইং এর প্রধান। এছাড়াও সে ‘জঙ্গীর সাথে কথোপকথন’ ফেসবুক পেজ, বালাকট মিডিয়া, আল হিকমা মিডিয়া, অনুসন্ধিৎসু মিডিয়ার পরিচালনার দায়িত্বে ছিল।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী মোজাম্মেল হুসাইন তার সংগঠনের অন্যান্য সহযোগিদের সহযোগিতায় অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

হত্যাকান্ডের সম্পর্কে তিনি সায়মনের বরাত দিয়ে জানান, তারা বই মেলার স্থান রেকি করে অভিজিৎ রায়কে হত্যার উদ্দেশ্যে টার্গেট করে। ২৬ ফেব্রুযারী ২০১৫ তাদের রেকির উপর ভিত্তি করে সংগঠনের অপস্ শাখার লোকজন এ হত্যাকান্ড ঘটায়। সে সময় আসামী মোজাম্মেল হুসাইনসহ সহযোগী অন্যান্যরা অপস্ শাখার লোকদের চারপাশে গার্ড হিসাবে অবস্থান নেয়।

সায়মন আরো জানায়, তাদের সংগঠনের বড় ভাই মেজর জিয়ার নির্দেশে এবং পরিচালনায় এ হত্যা কান্ডে তারা অংশ গ্রহন করেছিল। অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের ভিডিও ফুটেজে প্রকাশিত আসামীদের মধ্যে সে অন্যতম। সে জুলহাস-তনয়, নিলয় ও দীপন হত্যাকান্ডে অংশগ্রহন করেছিল এবং আনসার আল ইসলামের সকল হত্যাকান্ডের দায় সে স্বীকার করতো বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

উলে­খ্য, গত ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত একুশে বই মেলায় কতিপয় সন্ত্রাসী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকা প্রবাসী মুক্তমনা লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার উপর হামলা চালায়। উভয়কে নির্মমভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ রায় মৃত্যুবরণ করেন। অভিজিতের স্ত্রী চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়