শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১০:২৪ দুপুর
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১০:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি ব্যবস্থাপনায় নারী শ্রমিকদের বিদেশে পাঠাতে চুক্তিতে বাধা কোথায়?

জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া: বিদেশে গিয়ে নির্যাতনের শিকার নারীদের কথা শুনতে গতকাল শনিবার ঢাকায় একটি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গণশুনানিতে অংশ নেয়া নির্যাতিতা নারীরা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছাড়া সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নারী শ্রমিক না পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

নারী শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়া এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদার।

বর্তমানে নারী শ্রমিকরা বায়রা এবং বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নারী শ্রমিকদের বিদেশে পাঠাতে চুক্তিতে বাধা কোথায়?

জবাবে তিনি বলেন, এগ্রিমেন্ট অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস কন্ট্র্যাক্ট ২০১৫ চুক্তির অধীন আমাদের দেশ থেকে নারী শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানো হচ্ছে।  তবে চুক্তির অধীনে কাজ করার যেসব ক্ষেত্র আছে প্রতিটিতে আবার কাজ করার সুযোগ থাকে। এই চুক্তির মাধ্যমে গ্রান্ড ওয়ার্কিং কমিটি বা গ্রান্ড ওর্য়াকিং গ্রুপের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ে মিটিং হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা কাজগুলো করতে পারিনি। যদিও এটিতে উন্নয়ন করার সুযোগ ছিলো। আমরা শিগগিরই সেই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।

এমওইউ ও সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে শ্রমিক প্রেরণের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে। আর যে দেশে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনা যাবে না তাহলে সরকার সেখানে কিভাবে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখনই কোনো নারী শ্রমিক বিপদে পড়ে বা কাজটি যদি তার পছন্দ না হয় তখন ওই নারী শ্রমিক দেশে ফিরে আসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। আর তখন আমরা তাদেরকে সাহায্য করি এবং নিয়ে আসি বলে দোষীর বিরুদ্ধে কোনো লিগ্যাল স্টেটমেন্ট নিতে পারি না। এমনকি সে দেশে থেকে দোষীর বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা না করেই তারা দেশে ফিরে আসেন। যদিও আইনি সহায়তার ব্যাপারে সব দিক উল্লেখ রয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্যাতিতা চুক্তি ছাড়া বিদেশে নারী শ্রমিকদের পাঠানো বন্ধেরও দাবি করছেন। তাহলে কী জনশক্তির বাজার সংকুচিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে? এই পরিস্থিতিতে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়ে যেসব নারী বিপদে পড়েন তাদের জন্য সেফ হোম খোলা হয়েছে। বিপদগ্রস্ত নারীদের সেফ হোমে রেখে দূতাবাস থেকে আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

নারী শ্রমিকদের হোস্টেলের ব্যবস্থা করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় নারীরা বাসযোগে সকালে কর্মস্থলে যাবে এবং কাজ শেষে হোস্টেলে ফিরে আসবে।  এছাড়া যদি নারী শ্রমিক পাঠানোর কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হতো তাহলে কেউ আর বিপদে পড়তো না।

শ্রমিক কিংবা রিক্রুটিং এজেন্সির সচেতনা বা দক্ষতা বাড়ানো ক্ষেত্রে কোনো পরিকল্পনা আছে কী?

প্রশ্নের জবাবে নমিতা হালদার বলেন, কোনো কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি সচেতনভাবে শ্রমিকদের বিপদে ফেলে। কিন্তু সবাই এরকম নয়। তারা আমাদের সহযোগিতাও করছে। প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট প্রধান প্রধান ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবে। এছাড়া, যেসব শ্রমিরা নির্যাতিত হয়েছে তাদের নিয়ে বড় আকারের একটি ওয়ার্কশপ করে সচেতনা সৃষ্টির জন্য তাদেরও সাহায্য চাইব এবং আমরা আমাদের নারীদের কিভাবে সচেতন করতে পারি সেই বিষয়টিও তুলে ধরব।

আনিস/

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়