শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০১৭, ০৫:৪২ সকাল
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০১৭, ০৫:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমঝোতার মাধ্যমেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে

আগামী জাতীয় নির্বাচনের এখনো ১৩ মাস বাকি। ১৩ মাস খুব কম সময় নয়, আবার খুব বেশি সময়ও নয়। ১৩ মাসে অনেক কিছু ঘটে যাওয়া সম্ভব। আমি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আশা করছি। এই ১৩ মাসের মধ্যে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে মত পার্থক্য কমে আসবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপলক্ষে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। আমি গভীরভাবে সমঝোতায় বিশ্বাসী। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক এসব কথা বলে।

 

তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট বিএনপির নেতৃত্বে দাবি করছেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান মোতাবেক আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন। আমার মূল্যায়নে আওয়ামী লীগ যদি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, আওয়ামী লীগ যদি তাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের পাতায় ইতিবাচক অধ্যায় চায়, আওয়ামী লীগ নিজেই পথ খোঁজে বের করবে; কী নিয়মে বিএনপি তথা প্রধান বিরোধী দলকে সংসদে আনা যায়। আওয়ামী লীগ একটি অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দল।

তাদের বর্তমান অবস্থানটি হঠাৎ করে বদলানো যেমন কঠিন, আবার একদম না বদলানোও তাদের রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকারক। আমি কারণটি ব্যাখ্যা করছি। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি ২০১৪ সালে। এটা কঠিন বাস্তবতা। রাজনৈতিক তর্কের খাতিরে আওয়ামী লীগ টেলিভিশনের পর্দায় এবং রাজনৈতিক মঞ্চে অস্বীকার করে। কিন্তু তাদের অন্তরে তারা জানেন আসলে ১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনটি হাওয়ার ওপর ছিল। ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। সংবিধান ও আইন মোতাবেক সত্য। আসলে কি তারা জনগণের প্রতিনিধি? তারা চাচ্ছেন আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে।

 

তিনি আরো বলেন, আমাদের সামনে দুটো রাস্তা খোলা। একটা রাস্তা হলো পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব, দলীয় ক্যাডার দিয়ে ১৪ সালের জানুয়ারির মতো নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। দ্বিতীয় রাস্তা হলো, পৃথিবী ও দেশবাসীকে সাক্ষী রেখে পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেন, সংবিধান মোতাবেক হবে। কিন্তু আমি প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিতে চাই, সংবিধান তো আপনি সংশোধন করে আপনার সুবিধা মতো বানিয়েছেন। আপনি নিরপেক্ষ নন। আপনি একজন পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তি। এটা কোনো দোষের নয়। আপনি আওয়ামী লীগের হয়ে কিভাবে নিরপেক্ষ হবেন? এটা দোষ নয়। এটা আপনার দলের প্রতি আনুগত্য। এর জন্য আপনি অভিনন্দন পাবেন।
সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, দলীয় প্রধান হয়ে দলের প্রতি আনুগত্য থাকলে, নিরপেক্ষতার ভান করলে পৃথিবীর কেউই এটাকে সহজভাবে গ্রহণ করবে না। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান করবো, সুস্থ মাথায় আপনারা চিন্তা করবেন, কি নিয়মে বাংলাদেশ বাঁচে? আপনাদের ইজ্জত রক্ষা হয়।

 

গণতন্ত্রের ইজ্জত রক্ষা হয়। মানুষ ভোট দিতে পারে। কঠোর অবস্থানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক দলগুলো মুখোমুখি হয়। আবার কোনো কোনো দেশে সেই কঠোর অবস্থান থেকে পরিত্রাণ হয় রক্তপাতের মাধ্যমে, কারো বা সমঝোতার মাধ্যমে। আমি গভীরভাবে সমঝোতায় বিশ্বাসী। সেই জন্য আমি বারবার আবেদন করছি।

 

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়