[নাসিরনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর ও মন্দির ভাঙার বেদনায়]
মুহাম্মদ সামাদ : এখানে মা দুর্গা উবু হয়ে পড়ে আছেÑ দুই চোখে অশ্রু তার;
যেন সন্তানের ম্লানমুখে তাঁকাবে না মাতা আর!
কালী মা’র দুই চোখে অভিমান, ফিরিয়ে রেখেছে মুখÑ
যেন শক্তির খড়গ হাতে তাড়াবে না তষ্করের তা-ব
লক্ষ্মীর আসনে বসে গেছে নিশাচর পেঁচাÑ
যেন শস্যদানা গাভি কবুতর ফলিবে না গাঁয়ে
ঘর বাড়ি মাথা তুলে দাঁড়াবে না নিজ নিজ পায়ে
ছিন্নভিন্ন হয়ে সরস্বতী গেছে নিরুদ্দেশে
যেন বিদ্যার বিভায় আর জাগিবে না মানবিক বোধ!
এ যে একাত্তরের গ্রাম!
উনিশ’শ একাত্তরে, সেই বিসর্জনে
নির্বিবিচারে পথে ঘাটে জীবন দিলাম
বুকের মানিক প্রিয় পুত্র ও কন্যা দিলাম
কত যতনের ধন অমূল্য সম্ভ্রম দিলাম
সাত পুরুষের ভিটে বাড়ি মন্দির দিলাম!
হাজার বছর ধরে
আমাদের রক্তে বহে সর্বধর্মনাম
হাজার বছর ধরে
আমাদের রক্তে বহে মানুষ প্রণাম।
এ মাটির অমল উত্থানে তাই
আমরা সাম্যের গান গাই।
আবার এমন নিষ্ঠুর তা-ব কেন তবে?
কেন সেই হায়েনার হিংস্র বর্বরতা?
আমার পিতার দীর্ঘ সংগ্রামে কেনা
আমার পুত্রের পবিত্র রক্তে কেনা
আমার কন্যার অমূল্য সম্ভ্রমে কেনা
আমার বোনের লজ্জিত শাড়িতে কেনা
আমার মায়ের প্রতীক্ষার কষ্টে কেনা
অধর্মের ছোবলে নীলÑ এ কোন মাতৃমুখ!
আমি কি আমার ধর্ম ভুলে যাই?Ñ
‘সবার উপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নাই’।
আপনার মতামত লিখুন :