সাঈদা মুনীর: ইয়েমেনে সৌদি অবরোধের কারণে চার লাখ শিশুর মৃত্যুঝুঁকির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ক্ষুধাকাতর ১ কোটি শিশুর বিপন্নতার কথা জানিয়ে জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, এক্ষুণি অবরোধ না উঠেল সেখানে মৃত্যু হতে পারে চার লাখ শিশুর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে সময়মতো মানবিক সহায়তা না পৌঁছালে দেশটির চার লাখ শিশু মারা যেতে পারে। তারা জানায়, ‘২ কোটিরও বেশি মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। যাদের প্রায় এক কোটি শিশু।’
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইয়েমেনে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ অনাহারে মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্থনিও গুয়েতেরেস অবরোধ তুলে নিতে সৌদি জোটের অস্বীকৃতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধের কারণে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
এদিকে সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, খাদ্যাভাব ও অসুস্থতায় ইয়েমেনের ৫০ হাজার শিশু মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ত্রাণ কার্যক্রম বারবার ব্যহত হওয়ার কারণে হাজার হাজার শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে।
২০১৫ সাল থেকেই ইয়েমেন সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। শনিবার রাজধানী রিয়াদে ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ঘটনায় রবিবার অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব। স্থল, পানি ও আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ায় সীমান্তে আটকা পড়েছে অনেক জরুরি ত্রাণ সামগ্রী। সৌদি আরবের যুক্তি, ইরান যেন অস্ত্র সরবরাহ করতে না পারে সেজন্যই এই অবরোধ আরোপ করেছে তারা। ইরান অবশ্য এই অভিযাগ অস্বীকার করেছে। এই অবরোধে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাগুলো আটকা পড়েছে অক্সফাম, ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স এর মতো আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো।
এর আগে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেস, নরওয়ে রিফিউজি কাউন্সিলসহ মোট ২২টি মানবাধিকার সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ৭০ লাখ দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ছয় সপ্তাহের খাবার রয়েছে। ‘ইয়েমেনে মানবেতর পরিস্থিতি খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ করা না হলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে।’
সজিব খান/
আপনার মতামত লিখুন :