১.আবূ হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন তোমরা অন্ধকার রাতের টুকরোসমূহের মত (যা একটার পর একটা আসতে থাকে এমন) ফিত্নাসমূহ আসার পূর্বে নেকীর কাজ দ্রুত করে ফেল। মানুষ সে সময়ে সকালে মু’মিন থাকবে এবং সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে অথবা সন্ধ্যায় মু’মিন থাকবে এবং সকালে কাফের হয়ে যাবে। নিজের দ্বীনকে দুনিয়ার সম্পদের বিনিময়ে বিক্রয় করবে। (মুসলিম ও তিরিযী)
২. আবূ সিরওয়াআহ উক্ববাহ ইবনে হারেস (রা.) বলেন যে, আমি নবী (সা.) এর পিছনে মদীনায় আসরের নামায পড়লাম। অতঃপর সালাম ফিরে তিনি অতি শীঘ্র দাঁড়িয়ে পড়লেন। তারপর লোকদের গর্দান টপকে তাঁর কোন এক স্ত্রীর কামরায় চলে গেলেন। লোকেরা তাঁর শীঘ্রতা দেখে ঘাবড়ে গেল। অতঃপর তিনি বের হয়ে এলেন; দেখলেন লোকেরা তাঁর শীঘ্রতার কারণে আশ্চর্যান্বিত হয়েছে। তিনি বললেন, (নামাযে) আমার মনে পড়ল যে, (বাড়ীতে সোনা অথবা চাঁদির) একটি টুকরা রয়ে গেছে। আমি চাইলাম না যে, তা আমাকে আল্লাহর স্মরণে বাধা দেবে। যার জন্য আমি (দ্রুত বাড়ীতে গিয়ে) তা বণ্টন করার আদেশ দিলাম। অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘আমি বাড়ীতে সাদকার একটি স্বর্ণখণ্ড ছেড়ে এসেছিলাম। অতঃপর আমি তা রাতে নিজ গৃহে রাখা পছন্দ করলাম না। (বুখারী ও মুসলিম)
৩. জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, উহুদ যুদ্ধের দিন এক সাহাবী নবী (সা.) কে বললেন, আপনি বলুন! আমি যদি (কাফেরদের হাতে) মারা যাই, তাহলে আমি কোথায় যাব?’ তিনি বললেন, জান্নাতে। এ কথা শোনামাত্র তিনি তাঁর হাতের খেজুরগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। তারপর (কাফেরদের সাথে) যুদ্ধ করতে করতে শাহাদত বরণ করলেন। (বুখারী ও মুসলিম)
আপনার মতামত লিখুন :