রিকু আমির : আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশে মোটর সাইকেল নিয়ে আসা মালিকরা কিছুটা ভীতিকর অবস্থায় ছিলেন। সম্প্রতি আজিমপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বেশকিছু মোটর সাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের জেরে এই ভীতি বিরাজ করছিল বলে মোটর সাইকেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
সরেজমিনে শনিবার বেলা ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার চারদিকের পাশপাশি গোটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রধান সড়কে এখানে-ওখানে মোটর সাইকেলের শৃঙ্খলিত-বিশৃঙ্খলিত পার্কিং দেখা গেছে।
দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে এসব মোটর সাইকেলের বেশিরভাগই পার্কিংস্থল ত্যাগ করতে থাকে। টিএসসির খুব কাছে প্রায় ২০টি মোটর সাইকেল ছিল পার্কিং করা। এর মধ্যে সুজুকি জিক্সার এসএফ বাইকের মালিক সুলাইমান। তিনি বাইক স্টার্ট দেওয়ার সময় জানতে চাওয়া হয়- এখন চলে যাবার কারণ। তিনি বলেন, ভাই, ভয় করছে, সেদিন আজিমপুরে কতগুলো বাইক পোড়া-ভাঙ্গা হয়েছে।
টিএসসির পাশে কফি হাউজের পাশে পার্কিং করা নিজ এপাচি আরটিআর নিয়ে যাচ্ছিলেন সৌরভ। চলে যাবার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক শখের বাইক, বহুত কষ্ট করে কিনছি। সেদিন আজিমপুরে বাইক পোড়া ছবির কথা মনে পড়ছে। এজন্য আর থাকব না। তাড়াতাড়ি চলে যাই। কি থেকে কী হয়ে যায়, বিচার-জরিমানাও পাব না। একই কারণে চলে যাচ্ছিলেন নিজ পালসার এএস মডেলের বাইক নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী আজাদ।
আজিমপুরের ঘটনা মনে করে যদি চলেই যান, তাহলে আসলেন কেন- প্রশ্নে তিনি কিছুটা আটকে আটকে বলেন, আসলে বন্ধুদের ডাকে এলাম।
আপনার মতামত লিখুন :