কামরুল আহসান : শনিবার সকালে ফ্রান্সে পৌঁছেছেন লেবাননের প্রাক্তন কিংবা বহাল (আনুষ্ঠানিকভাবে এখানে পদচ্যুত হননি) প্রধানমন্ত্রী সা’দ হারিরি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো তাকে এলিসি প্রাসাদে স্বাগত জানিয়েছেন। এ সময় ম্যাঁক্রোর সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ব্রিজিট এবং সা’দ হারিরির সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী লারা বসির আল-আজমি এবং বড় ছেলে হুশাম। বাকি দু সন্তানকে তিনি সৌদি আরব রেখে এসেছেন।
৪ নভেম্বর সাদ হারিরি সৌদি আরব থেকে এক আকস্মিক ঘোষণায় লেবাননের প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব ত্যাগ করেন। এতে সবাই খুব বিস্ময় প্রকাশ করে। কারণ, কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীর অন্য কোনো দেশে গিয়ে পদত্যাগ করার নজির নেই। সা’দ হারিরি অবশ্য সৌদি আরবেরও নাগরিক। তবে তাকে বিমান থেকে প্রায় অবহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো এমন কিছু গুজব উঠেছে। আর সৌদি ক্রাউন প্রিন্স সালমান তাকে জোর করেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করান এমন কথাও শোনা গেছে।
অনেকে মনে করছিলেন সাদ হারিরিকে আসলে সৌদিতে আটকে রাখা হয়েছে। এক সপ্তাহ পর সা’দ হারিরি সংবাদমাধ্যমে জানান তাকে কেউ আটকে রাখেনি। তিনি নিজের ইচ্ছাতেই সৌদি আরব আছেন। এরমধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সা’দ হারিরিকে ফ্রান্সে আমন্ত্রণ জানান। ২০১১ সালেও নিরাপত্তার জন্য সা’দ হারিরি ফ্রান্সে আশ্রিত ছিলেন।
ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো শনিবার দুপুরে এলিসি প্রাসাদে সাদ হারিরির সম্মানে ভোজে অংশ নেন। তিনি বলেন, আমি তাকে একজন প্রধানমন্ত্রীর মতোই গ্রহণ করেছি। কারণ, তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী। আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগ এখনো গ্রহণ করা হয়নি।
ফ্রান্সে রওয়ানা দেয়ার সময় হারিরি বিমানবন্দরে বসেই টুইট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘দেখুন, আমি ফ্রান্সে যাচ্ছি। আমি বন্দী না।’ গাল্ফ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :