শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:২৬ দুপুর
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমাবেশ শুরুর আগেই সমাবেশস্থল ত্যাগ শুরু করেন নেতাকর্মীরা

রিকু আমির : আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশ শুরু হবার আগ থেকেই দলে দলে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে শুরু করেন।

এসব নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়- বৈরি আবহাওয়া, ভারী খাবারের ব্যবস্থা না থাকা, সভা শেষে পরিবহন সংক্রান্ত ঝামেলা এবং সভামঞ্চের কাছে বসতে না পারাই ওইভাবে চলে যাওয়ার মূল কারণ।

শনিবার দুপুরে স্বাধীনতা জাদুঘর (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মাঠে এ নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের নেতা সবুজ বলেন, বড় ভাই (বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি) বলেছে এবার কোনো খাবার-দাবারের আয়োজন নেই। এসব আয়োজন করতে নাকি উপর থেকে নিষেধ করা হয়েছে।

সবুজের পাশে থাকা বনানী থানা যুবলীগের কর্মী ইমরান ওই কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, নেতাদের কথামতন আসলাম, কিন্তু পেট তো নেতার কথায় ভরার সিস্টেম নেই। বলল- দুপুরে লাঞ্চ করাবে, এখন কারও খবর নেই।

ইতোপূর্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের যেসব সমাবেশ হয়েছে, সেসব সমাবেশে নেতাকর্মীদের খাওয়া-খাদ্যের আয়োজন থাকত। হয় উদ্যানের ভেতর চুলায় রান্না হতো, নয়তো বিভিন্ন এলাকার নেতারা প্যাকেটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আগতদের খাবার দিতো শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মধ্যেই। কিন্তু নাগরিক সমাবেশে এ ধরণের আয়োজন দেখা যায়নি।

লালবাগ থানা যুবলীগের নেতা আলী হোসেন চলে যাচ্ছিলেন নিজ মোটর সাইকেল নিয়ে। বৈরি আবহাওয়ার কথা বলে তিনি বিদায় নিচ্ছিলেন বন্ধুদের কাছ থেকে। তার সঙ্গে চলে যাচ্ছিলেন আরও কয়েকজন। আলী হোসেন বলেন, আর কী করব, ভেতরে যাওয়া অনেক কষ্টের। মিছিল নিয়ে এলাম, ছেলেপেলে নিয়ে এলাম, খাওয়া-দাওয়া হয়নি, আকাশও খারাপ। আর থাকা সম্ভব না।

উত্তরা আবদুল্লাহপুর থেকে প্রায় ১৫ জনের দল পাওয়া যায়, যারা চলে যাচ্ছিলেন সমাবেশ শেষে পরিবহণগত সমস্যা এড়াতে। এ দলের একজন সোহরাব বলেন, অনেক দূরে যেতে হবে। তাছাড়া এখন থেকে আর কোনো কাজ নেই। এমনিতেই যে কষ্ট করে এসেছি, যাব কীভাবে ভাবছি।

শাহবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আনোয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কী দেখব সমাবেশ। মঞ্চের কাছেই যেতে পারলাম না। পুলিশ যেতে দেয় না। বলে নিরাপত্তার সমস্যা নাকি। আর থেকে লাভ নাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়