কামরুল আহসান : যুক্তরাষ্ট্রের মৎস এবং বন অধিদপ্তর ঘোষণা দিয়েছে যে তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আফ্রিকার দুটি দেশ থেকে হাতি আমদানির নিষেধাজ্ঞা আইনটি তুলে ফেলবে। ২০১৪ সালে আফ্রিকার জিম্বাবুয়ে এবং জাম্বিয়া থেকে হাতি আমদানির এই নিষেধাজ্ঞা আইনটি পাশ করেছিলেন ওবামা।
জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়ায় হাতি উৎপাদনের সংখ্যা খুব দ্রæত কমে আসছে। বর্তমানে জিম্বাবুয়ে হাতির সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। এই অবস্থায় হাতি শিকার ও আমদানির আইনটি তুলে নেয়া হবে তাদের বিলোপ সাধন। শুক্রবার সকালে এ ঘোষণা দেয়ার পরই প্রতিবাদে মুখোর হয়েছে পরিবেশবিদেরা। তবে হোয়াই হাউসের প্রেস সচিব সারাহ সেন্ডার্স জানিয়েছেন, এটা মাত্রই একটা ঘোষণা। এখনো এ নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। এখনো কিছুই চূড়ান্ত নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মৎস এবং বন অধিদপ্তর জানিয়েছে ওই দুটো দেশে অবৈধ হাতি শিকার ঠেকাতেই তারা আইনটি তুলে নিয়ে বৈধ আমদানির কথা ভাবছে। তাতে দেশ দুটিও লাভবান হবে, হাতিও বাঁচবে। উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালে ট্রাম্প পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এক হাতি শিকার করে তার সঙ্গে ছবি তুলে সমালোচিত হয়েছিলেন। তখন ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছিলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে হাতি শিকারের পক্ষে না। আমি আমার ছেলের এ ব্যাপারটা সত্যিই খু অপছন্দ করি যে সে শিকার করে বেড়ায়। তবে সে যা করেছে বৈধপথেই করেছে, ওখানে এরকম অনেকেই করে।
তবে এখন যুক্তরাষ্ট্রের মৎস এবং বন অধিদপ্তর জোর দিয়ে বলছে যে একমাত্র বৈধ পথে হাতি আমদানিই তাদের বাঁচাতে পারে। অন্যথায় অবৈধ পথে শিকারীদের শিকার হয়ে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বিবিসি, এবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :