মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম : বাংলাদেশের চক্ষু সেবায় দক্ষ জনশক্তি তৈরীর পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসা দিতে বিশ্বের একমাত্র অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটাল এখন চট্টগ্রামে অবস্থান করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে, ন্যাশনাল আই কেয়ার এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সার্বিক সহযোগিতায় ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আগামী ৪ ডিসেম্বর সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এটি অবস্থান করবে। এই নিয়ে ১০ম বারের মতো বাংলাদেশে এবং ৪র্থ বারের মতো চট্টগ্রামে এসেছেন অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটাল।
এর আগে ২০০৯ সালের বাংলাদেশে আসেন বিশ্বের একমাত্র অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটালটি। অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটালের বিভিন্ন সেবার কার্যক্রমের তর্থ্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইমরান সেমিনার হলে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনীর আহমেদ।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজিং ট্রাস্টি আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন, ফ্লাইং আই হাসপাতালের পরিচালক জে বারগুইস, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনীর আহমেদ এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে কান্ট্রি প্রোগ্রাম কর্মকর্তাগণ।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত পৃথিবীর একমাত্র ‘ফ্লাইং আই হসপিটাল’ শুধু হাসপাতালই নয়, এটা একটি সর্বাধুনিক, মানসম্মত, স্বয়ংসম্পূর্ণ আমেরিকান এক্রিডেটিশন প্রাপ্ত টিচিং হাসপাতাল।
চোখের জটিল রোগের চিকিৎসা এবং চক্ষু চিকিৎসক ও চক্ষু সেবায় নিয়োজিত নার্স ও বায়োমেডিক্যাল টেকনিশিয়ানদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য হাসপাতালটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
উন্নত চক্ষু চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের এ হাসাপাতাল যোগ করেছে অনন্য মাত্রা। তারা বলেন, এবারের প্রশিক্ষণে চক্ষু রোগের ৮টি সাব-স্পেশালিটিতে সর্বমোট ৩১৫ জন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও চক্ষু সেবায় নিয়োজিত নার্স ও বায়োমেডিক্যাল টেকনিশিয়ান অংশ গ্রহণ করে সরাসরি দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ পাবেন।
২৪ জন চক্ষু চিকিৎসককে দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে যারা পরবর্তীতে বাংলাদেশে অন্যান্য পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।
বিশ্বের একমাত্র ফ্লাইং আই হসপিটালটি, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের আত্ম প্রকাশের তিন বছরের মধ্যে ১৯৮৫ সালে প্রথম বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সর্বশেষ এটি ২০০৯ সালে বাংলাদেশে এসেছিল। সম্মেলনে বলা হয়, উন্নত চক্ষু চিকিৎসাসহ বহু জটিল রোগীর চোখে সফল অস্ত্রোপচারসহ ফ্লাইং আই হসপিটাল কার্যক্রম প্রশিক্ষিত করেছে অনেক চিকিৎসককে, যারা আজ বাংলাদেশে চক্ষু চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটালের এই সকল কার্যক্রম বাংলাদেশের চক্ষু সেবায় দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে এবং উন্নত চিকিৎসা প্রদান করে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব নিবারণ এবং জাতীয় শিশু চক্ষু অন্ধত্ব নিবারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আপনার মতামত লিখুন :