স্পোর্টস ডেস্ক : মাঠের চারদিকে নান্দনিক সব শট খেললেন মুমিনুল হক। ৪২ করে সাজঘরে ফেরার আগেই শুরু করলেন আরেক বাঁহাতি জাকির হাসান। দুজনেই ব্যাটিং ঝলকে মাতিয়ে রাখলেন ছুটির দিনে টি-টুয়েন্টির বিনোদন পেতে মাঠে আসা দর্শকদের। দুই বাঁহাতির ব্যাটিং কারিশমায় সিলেট সিক্সার্সকে ৭ উইকেটে হারাল রাজশাহী কিংস।
আগের চার ম্যাচে মাত্র একটি জয় পাওয়ায় পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে নেমে গিয়েছিল রাজশাহী। পঞ্চম ম্যাচে স্বস্তির জয় তুলে ঘুরে দাঁড়াল গত আসরের রানার্সআপ দলটি।
বিপিএলের ঢাকা পর্বে সবচেয়ে বেশি দর্শক হয়েছে আজ। গ্যালারিজুড়ে রাজশাহীর সমর্থক, শেষ হাসিটাও তাদের। সিলেটের করা ১৪৬ রান তাড়া করেছে ১৫ বল হাতে রেখে। চার মেরে জাকির যখন ফিফটি পূর্ণ করলেন দলের রান তখন ১৫০। ২৬ বলে চার বাউন্ডারি ও তিন ছক্কার ৫১ রানের ইনিংসটি ছিল চোখে লেগে থাকার মতো। খেলা শেষ হতেই এ তরুণকে পিঠ চাপড়ে দেন সিলেটের অধিনায়ক নাসির হোসেন। ডিপেন্ডবল মুশফিকুর রহিম উইকেট আগলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
রাজশাহীর জয়ের পাল্লা ভারি হয়ে যায় মুমিনুল হক ও রনি তালুকদারের ওপেনিং জুটিতে। ৮.৩ ওভারে ৬৫ রান তুলে তারা বিচ্ছিন্ন হন। ফেরার আগে ২৪ রান আসে রনির ব্যাটে। তিনে নামা সামিত প্যাটেল ফিরে যান ১ রান করে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের নয়নাভিরাম দৃশ্যপটের মাঝে যেন মন মাতানো ক্রিকেটটাও ফেলে এসেছে সিলেট সিক্সার্সরা। নয়তো যে দলটি টানা তিন ম্যাচ জিতে দাপুটে ক্রিকেটের আভাস দিয়েছিল, সেই দলটাই কেন রাজধানীতে এসে এভাবে ধুঁকবে। রাজশাহীর বিপক্ষে শুরুতে তেমনি এক হোঁচটের দিনেও অবশ্য নাসিররা শেষঅবধি করতে পারে ১৪৬। মিরাজের ‘কিপটে’ বোলিংয়ের দিনে সাব্বিরের ব্যাটে ওঠা ঝড় দেড়শর কাছাকাছি সংগ্রহে নিয়ে যায় সিলেটকে।
তাদের ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল আরেকটি বিপর্যয়ের আভাস দিয়ে। এসময় কেবল উইকেটই হারায়নি দলটি, রানের চাকাও ঘোরাতে ভুলে যায়। ৭১ রানের সময় গুনাথিলাকা যখন পঞ্চম উইকেটের পতন হিসেবে সাজঘরে ফেরেন, তখন ১৩.২ ওভার খেলা হয়ে গেছে। এই লঙ্কানের ৪০ রানের ইনিংসটা অবশ্য দ্বিতীয় সেরা। ৪০ বলে যাতে থাকল ৪ চার ও ২ ছয়ের মার।
আগে থারাঙ্গা ১০, ফ্লেচার ০, সোহান ১০, নাসির ৯ রানে সাজঘরে ফিরে দলের বিপদ বাড়িয়ে যান। পরে ব্যাটিংয়ে নিচে নেমে আসা সাব্বির রহমানের ক্যামিও সিলেটকে রক্ষা করে। এক চার ও ৪ ছয়ে ২৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন এই টাইগার তারকা।
সাব্বিরকে যোগ্য সঙ্গ দেন টিম ব্রেসনান, ৪ চার ও এক ছয়ে ১৭ বলে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলে। প্ল্যাঙ্কেট অপরাজিত থাকেন ২ বলে ৬ রানে।
রাজশাহীর হয়ে স্পিনাররা আলো ছড়িয়েছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ তো ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১২ রান, উইকেট একটি। সামিট প্যাটেল ২ ওভারে ৬ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন। সর্বোচ্চ ২ উইকেট কেসরিক উইলিয়ামসের, তবে ৪ ওভারে ৩২ রান খরচ তার।
আপনার মতামত লিখুন :