শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৪ সকাল
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে এলে শোনা যায় কেবল `নাই আর নাই’

নাসরিন বৃষ্টি: ডাক্তারের দায়িত্ব হলো রোগীর সেবা করা, কিন্তু সেই নিয়ম মানার বালাই নেই অনেক জায়গাতেই। কারণ, সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে অনেক ডাক্তার সময় দেন ক্লিনিক বা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার জন্য। আবার অনেক সেবাকেন্দ্রে নেই রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদিও। কাগজে-কলমে একশ শয্যা সরকারি হাসপাতাল। ওষুধসহ সব সেবা পাওয়ার কথা নামমাত্র মূল্যে। অথচ দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় সদরে এলে শোনা যায়, কেবল নাই আর নাই।

রোগীরা অভিযোগ করেন, তারা অসহায় হওয়া সত্ত্বেও তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন জিনিস কেনার নাম করে টাকা নেয়া হয়ে থাকে।

হাসপাতালটিতে প্রায় দশ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসক পদ ৪২টি, বিপরীতে ডাক্তার মাত্র ১০ জন। যাদের অনেকেই আবার নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত।

পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ড.  প্রিতম্বর রায় বলেন, পঞ্চগড় জেলায় ১৬৮টি জন চিকিৎসকের বিপরীতে মাত্র কর্মরত আছেন ৪৪ জন। চিকিৎসক সংকট প্রকট পশ্চিমাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবায় অন্যতম ভরসা। যশোর আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে। আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই, রোগ নির্ণয় করতে হয় বাইরে থেকে। সবকিছুর সমাধান করা গেলেও চিকিৎসক সংকট সামাল দেয়া যাচ্ছে না এখানেও।

বড় হাসপাতালে আসার আগে রোগীরা যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দিকে। ছোট-খাটো রোগ-বালাইয়ে নেত্রকোনার আটপাড়ার মানুষের ভরসাস্থল এই চিকিৎসাকেন্দ্র। এখানে দুইজন ডাক্তার নিয়োগ থাকলেও তাদের দেখা পেতে হলে যেতে হয় ক্লিনিকে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ডাক্তার সব সময় থাকেন না। তাকে কখনও আবার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আসতে হয়। তারা দশ টাকার ওষুধ বিশ টাকায় বিক্রি করে।

এ ছাড়া ঝিনাইদহে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয় এক দশক আগে। নামে বহির্বিভাগ চালু থাকলেও বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ ছাড়া কিভাবে চলছে এই ভুতুড়ে চিকিৎসা কেন্দ্রটি।

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ড. রাশেদা সুলতানা বলেন, স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় এটা চালু রেখেছি, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদায়ন করেছি। তাদের বেতনের ব্যবস্থা না হওয়ায় পুরোপুরি চালু করতে পারছি না।

চিকিৎসক দায়িত্বগত নয়, কিন্তু পদায়ন আছে ঠিকই- এমন হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনা ও উন্নয়নের নামে প্রতি বছর বিপুল অংকের টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের তরফে।

আনিস/

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়