ফারমিনা তাসলিমঃ গাইবান্ধার তিস্তা নদীর ভাঙন বিলীন হয়েছে ঘর বাড়ি। বসতভিটা ও জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজারো পরিবার । ঘরবাড়ি হারিয়ে রীতিমত অনেকে আশ্রয় নিয়েছে বাঁধ কিংবা স্বজনদের বাড়িতে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে দুটি প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
বন্যার সময় তিস্তা ভাঙনের তীব্রতা কিছুটা কম হলেও পানি কমার সাথে সাথে আবারও তীব্র হয় নদী ভাঙন। গত কয়েকদিনে সুন্দরবনে আগ্রাসী শুরু হয়েছে গাইবান্ধার তিস্তা নদীতে। বসতভিটা ও জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজারো পরিবার। নদীর এই ভাঙনে আতংকে এলাকা ছাড়ছেন অনেক পরিবার। নদীর এই ভাঙনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাইবান্ধার হরিপুর, কাপাসিয়া ইউনিয়ন। এদিকে ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কার্যকরী উদ্যেগ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ সম্পর্কে স্থানীয়রা বলেন,‘ নদী ভাঙনের কারণে আমাদের ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যায়। আমাদের দেখার কেউ নেই। নদী ভাঙন রোধে সরকার থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’
এদিকে ফরিদপুর ঘাটের তিস্তা নদীর দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প পাশ হয়েছে। ফলে নদী শাসনের আওতায় আসবে উভয় পাশের ছয় কিলোমিটার এলাকা । প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই সব এলাকায় নদী ভাঙন রোধ হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় সংসদ সদস্য।
এ সম্পর্কে গাইবান্ধার ১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ বলেন, ‘তিস্তার পাশের ব্রিজের উভয় পাশে তিন কিলোমিটার করে ছয় কিলোমিটার শাসন হবে এবং ব্রিজের সঙ্গে ১৪ কিলোমিটার আর ৮০ কিলোমিটার সড়ক হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, ভাঙন ঠেকাতে সুন্দরবন সদরের দুটি পয়েন্টে ২ হাজার ৬০০ মিটার স্থায়ী বাধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। শেষ হয়েছে টেন্ডার প্রক্রিয়াও।
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকোশলী সেলিম হোসেন বলেন, ‘স্থায়ীভাবে কাজ করার পর সুন্দরবন এলাকার হরিপুর, কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাঙন রোধ সম্ভব হবে।’
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের হিসেবে গত তিন মাসে সুন্দরবনে তিস্তার ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবার।
সূত্র : যুমনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :