জান্নাতুল ফেরদৌসী: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গাদের কারণে বিপাকে পড়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন এই সংস্থা। এছাড়া আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্র: যমুনা টিভি
যমুনা টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক সহায়তা সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার স্টাইলিয়ানিডেস ক্রিসটস।
গত ২৫ আগস্ট হতে মিয়ানমারের নির্যাতনে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে অসংখ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী। শরণার্থীদের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা।
এমন সংকট কিভাবে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক সহায়তা সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার স্টাইলিয়ানিডেস ক্রিসটস বলেন, আমার পরিদর্শন একটি শক্ত বার্তা বহন করে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে আছে। বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে স্থানীয় সম্প্রদায় একা নয়, সংকটের মুহূর্তে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করলেন তিনি।
তিনি বলেন, এমন মানবিকতা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। আমাদের সহায়তা শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, স্থানীয়দের জন্যও থাকবে। স্থানীয় সম্প্রদায় ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে তিন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গুরুত্ব দেয়া হবে শিক্ষা স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদার ওপর।
তিনি বলেন, আমাদের তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া দরকার। প্রথমত, কার্যকর পরিস্থিতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচানো। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা এবং সকলের সুস্থতা বজায় রাখা।
তিনি মনে করেন, মানবিকভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, এজন্য রাজনৈতিকভাবে সমাধান জরুরি। আনান কমিশনের সুপারিশের আলোকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়েই একটি গ্রহণ যোগ্য সমাধানের সুযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য এটি একটি মৌলিক মানবিক সংকট। আমরা মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবো। এতে আনান কমিশনের সুপারিশ সমূহ সমর্থন করি আমরা।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি। অন্যথায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :