শিরোনাম
◈ গাজীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকের মৃত্যু ◈ প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল ◈ এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ৪ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২০ ◈ মার্চ মাসে সারাদেশে ৬২৪ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫০, আহত ৬৮৪  ◈ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ◈ অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য আটক ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:৫৫ সকাল
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাজের অভাবে সাতক্ষীরা ছাড়ছে পুরুষেরা

জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : কর্মসংস্থানের অভাবে অভিবাসী হচ্ছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার মানুষ। লবণাক্ততার পরিমাণর বেড়ে যাওয়ায় কৃষিকাজের অভাবে প্রতিবছর এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। পুরুষরা কাজের খোঁজে বাইরে যাওয়ায় এখানকার হাজার হাজার পরিবার পরিণত হচ্ছে নারী প্রধান পরিবারে। সূত্র:ডিবিসি নিউজ

এক সময় সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা এলাকা বলে পরিচিত ছিল সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল। তবে পরিস্থিতি বদলে যায় প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে। লবণাক্ততা গ্রাস করে এসব এলাকায় আবাদি জমি। ফলে ধান, পাট, শাক-সবজির পরিবর্তে এখন এসব এলাকায় একচেটিয়াভাবে চাষ করা হচ্ছে চিংড়ি। শ্যামনগর উপজেলার গাবুড়া, পাতাখালি, মুন্সিগঞ্জ, বুড়িগোয়ালিনীসহ ৬টি ইউনিয়নে কৃষিকাজ কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। এলাকার পুরুষেরা কাজের সন্ধানে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। গাবুড়া অঞ্চলের ফসলি জমি পরিণত হয়েছে এখন মাছের ঘেরে। ১শ’ বিঘা জমিতে কৃষিকাজ হলে শত শত শ্রমিক প্রয়োজন অথচ সমপরিমাণ ঘেরের জমিতে শ্রমিক প্রয়োজন হাতে গোনা কয়েকজন। এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ থাকলে কেউ অন্য জেলায় অভিবাসী হতেন না।
২০০১ সালের আদমশুমারিতে শ্যামনগরের শতকরা ৫১ ভাগ ছিল পুরুষ। সেটি ২০১১ সালে হয়েছে ৪৮ ভাগ। আগামীতে এই সংখ্যা আরও কমার আশঙ্কা থাকলেও পুরুষদের কর্মসংস্থানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের লিডার্স পরিচালক মোহন কুমার বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি বাড়ছে, পাশাপাশি মানুষের ভিতর দুশ্চিন্তা তৈরি হচ্ছে, কৃষিখাতে সমস্যা হচ্ছে। আর এজন্যই এলাকা ছেড়ে মানুষ চলে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এলাকাবাসী যেন সারাবছর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা পাই এবং নিজ এলাকায় থাকতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়