অরণ্য কাশ্যপ: কম্বোডিয়া সরকারের অনুরোধে বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টি (সিএনআরপি) নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৮ সালে কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন তিন দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। ঘটনাক্রমে সিএনআরপি নিষিদ্ধ করার পর দলটির সর্বোচ্চ নেতা কেম সোখা’কে গ্রেফতার করা হয়। মার্কিন সহযোগিতায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার প্রয়াস ছিলো তার, এমন রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে অভিযুক্ত হন তিনি।
এদিকে নির্বাচনের আগে প্রধান বিরোধী দল নিষিদ্ধ করার কারণে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কম্বোডিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে।
কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের পর ১৯৯৩ সাল থেকে একটি বহুদলীয় সরকার ব্যবস্থা তৈরীর লক্ষ্যে পশ্চিমা দাতাদের কোটি কোটি ডলার খরচ করে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সরকার। হুন সেনের সমালোচকরা নির্বাচনের আগে সিএনআরপি বিলুপ্ত করার বিষয়টিকে, গণতন্ত্রের মৃত্যু বলে মনে করছেন।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউ’র এক মুখপাত্র বলেন, বিরোধী দল ছাড়া কম্বোডিয়ার আসন্ন নির্বাচন বৈধ হতে পারবে না। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রাখাই ছিল কম্বোডিয়ার সঙ্গে ইইউ’র বাণিজ্য সম্পর্কের একটি পূর্বশর্ত।
ওই বাণিজ্য সম্পর্কের ফলে ইউরোপ সহ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত ব্যাবসায় পরিচালনা করতে পারে কম্বোডিয়া। এমন সুযোগ এবং অভ্যন্তরীণ সহজলভ্য শ্রমিক কাজে লাগিয়েই গার্মেন্টস শিল্প তৈরি করতে সক্ষম হয় দেশটি।
হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম ধাপে কম্বোডিয়ার জাতীয় নির্বাচন কমিটি সহ আসন্ন নির্বাচনে দেশটির প্রশাসনকে সকল ধরনের সমর্থন দেওয়া থেকে বিরত থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :