অধ্যাপক আবু আহমেদ : জিডিপি বাড়ছে, সে হিসেবে বাড়ছে মাথাপিছু আয়। কিন্তু দরিদ্র মানুষেরা দরিদ্রই থেকে যাচ্ছে। লোয়ার মিডলক্লাস মাথাপিছু আয় তো গড়ে। জিডিপি ৭.৮ ধরুন, কিন্তু সবাই চলে যাচ্ছে টেন পার্সেন্টের হাতে। মোর দেন ওয়ান থার্ড। এটা নিয়েই তো মাথা ঘামানোর দরকার এখন। বাকিটা হিসাব-কিতাব একটু এদিক-ওদিক হতেই পারে। পরিসংখ্যান নিয়েও কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। ৭ পার্সেন্টের ওপরে গ্রোথ লেবেল অর্জিত, আশা করা যায় হবে। এটা নিয়ে আমরা খুশিই আছি। ভালো আছি। খারাপ না।
হায়ার গ্রোথ লেবেলে যদি যেতে হয় বাংলাদেশকে কোনো বড় ইকনোমির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। যেমন আসিয়ান কিংবা বাংলাদেশ-চায়না-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার (বিসিআইএম), এদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। মার্কেটে আমাদের ইকনোমির পটেনসিয়ালিটি যদি বাড়াতে হয়, তাহলে আমরা ফ্রি রেটে অন্য ব্লকের সঙ্গে করতে হবে। যেমন ভারত করছে আসিয়ান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে। কিন্তু আমরা বিচ্ছিন্ন। আমাদের ৭ পার্সেন্টই এগোয় না। কিন্তু কথা হয়েছে অনেক। শ্রীলঙ্কার সাথে একটা চুক্তি করার কথা সেটা আটকে আছে। চীন একটা অফার দিয়ে রেখেছিল ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট, সেটিও দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে এগোয় না। তুরস্কের সাথেও একটা চুক্তি হওয়ার কথা, সেটাও হয়নি। এখন বাংলাদেশে গ্যাস, ইলেকট্রিসিটি, রোড হবে, হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে হয়ে যাচ্ছে। কারও থেকে চেয়ে নিতে হচ্ছে না। কিন্তু বিক্রিটা হবে কোথায়? বিক্রি করার জন্য তো মার্কেট দরকার। গার্মেন্টসে আমরা সুযোগ পাচ্ছি স্পেশাল। আমরা যদি বড় অর্থনীতির সাথে টাইমআপ না হতে পারি, তাহলে বিদেশিরা আমাদের এখানে বিনিয়োগ করতে চাইবে না, যেটা এখন করছে।
আমাদের ক্যাপিটাল চলে যাচ্ছে। ধনী লোকেরা টাকাপয়সা বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি মনে করি গোল্ড জেমস মার্কেটটা খুলে দেওয়া উচিত। এখানে অলরেডি স্মাগলিং হচ্ছে। কেন আমরা স্মাগলিংকে প্রমোট করছি? অন্য দেশে এই মার্কেট খোলা আছে। ইনভেস্টমেন্ট করার সুযোগ দিতে হবে। তা না হলে তো লোকেরা টাকাপয়সা বাইরে নিয়ে যাবেই।
পরিচিতি : অর্থনীতিবিদ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :