শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫৭ সকাল
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্যরা অত্যাচারী ও জনবিচ্ছিন্ন

 

 

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল : আওয়ামী লীগ সরকারের বেশিরভাগ সংসদ সদস্য অত্যাচারী এবং অসৎ। লুটপাটের রাজনীতি করে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সরকার ইতিমধ্যে উপলব্ধি করতে পেরেছে, তাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে পড়েছে। সহজভাবে নির্বাচনী তরি উৎরানো যাবে না। সেই চিন্তা-ভাবনা থেকেই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী দেখেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিতে চায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামার পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কে তারা সবচেয়ে শক্ত এবং জনপ্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বি মনে করে। এই ক’দিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের দলীয় ফোরামে মন্তব্য করেছেন-‘বিএনপিকে সংগঠনিকভাবে দুর্বল ভাবা হলেও জনপ্রিয়তায় দুর্বল ভাবা ঠিক হবে না। এগুলো সাধারণ সম্পাদকের কথা। এবার শুনুন অর্থমন্ত্রী কি বলেছেন, এইতো সেদিন বাংলাদেশের একটা জানপ্রিয় দৈনিক পত্রিকায় তিনি বললেন- ‘আমাদের সংসদ সদস্যদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে আসতে পারবেন না এবং অনেকের জিতে আসতে বেগ পেতে হবে।

 

কেননা, তারা অত্যাচারী অসৎ। তারা মানুষের কাছ থেকে নানান কায়দায় টাকা-পয়সা আদায় করেন। আর ঐ অসৎ নেতার সংখ্যা নেহায়েতই কম নয়, অনেক, আমিও জানি অনেকের কথা। আবার অনেকে বলেন, আমি কি তোমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি? তোমাদের কাছে জবাবদিহিতা কী?’। এই যে অর্থমন্ত্রীর এমন বিশ্লেষণের মধ্য থেকেই বুঝা যায়, তারা বিএনপি থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। জনগণের অন্তরে তাদের কোনো স্থান নেই। কিন্তু ইতোমধ্যে বিএনপি জনগণের অন্তরে আস্থার জায়গা আরও বেশি শক্ত করে নিয়েছে। যে কারণে তারা অনুসরণ করবে বিএনপি কোনো আসনে কাকে প্রার্থী দিচ্ছে। তা দেখে তারা প্রার্থী ঠিক করবে। খবর পাওয়া যাচ্ছে, ১৫০-২০০ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পরিবর্তনের কথা ভাবছে।

 

কেননা যারা পুরো সময়জুড়ে শুধু লুটপাটে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন, তারা একদিকে যেমন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, আবার অন্যদিকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছেও তারা চোখের কাটায় পরিণত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নিজের নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারেন না। তাদের দলীয় কর্মীরা অবরোধ সৃষ্টি করে। আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এমন অবস্থা উপলব্ধি হওয়ায় গোটা দলের মাঝে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মাঝে বিএনপির বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে নিজেদের উত্তরণের জন্য নানা ফন্দি-ফিকির করছে। কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে- স্বচ্ছ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ কোনো ভাবেই পার পাবে না।

পরিচিতি : যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি
মতামত গ্রহণ : লিয়ন মীর
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়