ডেস্ক রিপোর্ট : চুয়াডাঙ্গার জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির দুই আঞ্চলিক নেতা আবদুল মোকিম ও ঝড়ুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
আবদুল মোকিমের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামে। ঝড়ুর বাড়িও একই গ্রামে।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেনকে বাদল সরদারের বাড়িতে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কয়েকজন চরমপন্থী কুপিয়ে হত্যা করে। ওই দিনই নিহতের ভাই অহিম উদ্দীন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ২১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল এ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়।
রায়ে আবদুল মোকিম ও ঝড়ুসহ ৩ আসামিকে আদালত মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুর্লভপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম ও হিয়াসহ ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর ১৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মামলার রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল সূত্রে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া একজন ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুজন আমিরুল ইসলাম ও হিয়ার দণ্ডাদেশ মওকুফ করা হয়। মোকিম ও ঝড়ুর ফাঁসির আদেশ বহাল থাকে।
মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন দুবার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি কৃতি খেলোয়াড় হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ভারতের পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলেও তিনি হা-ডু-ডু খেলতে যেতেন। সূত্র-প্রথম আলো
আপনার মতামত লিখুন :