শিরোনাম
◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:৩১ দুপুর
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুন্দরবনে এবার হুমকির মুখে ডলফিন ও কুমির

জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : সুন্দরবনে বাঘ ও হরিণের পর এবার হুমকির মুখে রয়েছে ডলফিন ও কুমির। আগের তুলনায় কুমির যেমন সচারাচার দেখা যায় না তেমনি সুন্দরবন এলাকায় নদ-নদী গুলোতেও কমেছে ডলফিনের বিচরণ, জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সূত্র: সময় টিভি

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুন্দরবন কেন্দ্রীক শিল্পায়ন এবং নৌ চলাচলের কারণে ডলফিন ও কুমিরের আবাস স্থলে বিচরণ এবং বংশবিস্তার কমে যাচ্ছে।

সুন্দরবনে নিরাপদে নেই ডলফিন ও কুমির। পরিসংখ্যা আনুযায়ী ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারের এই বনে এখন কুমিরের সংখ্যা মাত্র ২১০টি এবং শুশক ও ইরাবতীযাত মিলিয়ে ৬শ’থেকে সাড়ে ৬শ’ ডলফিন রয়েছে। গত ৩ থেকে ৪ বছর আগেও এর সংখ্যা দ্বিগুণ ছিল বলে জানা গেছে অপর এক পরিসংখ্যান থেকে।

বন গবেষকদের মতে, সুন্দরবনের মধ্য থেকে ভারী নৌযান চলাচল এবং মাছের পোনা শিকারিদের জালে কুমির ও ডলফিন আটকা পড়ে মারা যাওয়ার কারণে বিপন্ন হতে শুরু করেছে উভচর দুই প্রাণী।

দুই বছর আগে মে ও জুন মাসের প্রজনন মৌসুমে বনের যে স্থানে কুমিরের ডিম দেখা যেত এখন আর সে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না।

খুলনার ওয়াইন্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির জেষ্ঠ্য গবেষক মো. জহাঙ্গীর আলম বলেন, একটি ফোল্ডার তৈরি করেছি যেটাকে আপনারা বুকলেটও বলতে পারেন যার মধ্যে সুন্দরবন সংক্রান্ত আইনগুলো আছে যেগুলো পড়ে ফিসারম্যানরাও সচেতন হবে। তাছাড়া বন বিভাগের মাঠ পর্যায়ের যে কর্মীরা আছে তারাও আইনগুলো জেনে অন্যদেরকে পরামর্শ দিতে পারবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট উভয় কারণেই আমাদের সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে গত কয়েক বছরে কমে আসছে ডলফিন ও কুমিরের সংখ্যা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত বলেন, ডলফিনকে তার শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য পানির উপরে উঠতে হবে আর যদি উঠতে না পারে তাহলে সে মারা যাবে।

খুলনা সার্কেল বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, কুমির ও ডলফিনের জন্য আলাদাভাবে দুইটি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। আর এই কার্যক্রমগুলো যদি আমরা মাঠ পর্যায়ে সম্পন্ন করতে পারি তাহলে সুন্দরবনে আবার ডলফিন ও কুমিরের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডলফিন সুরক্ষায় পূর্ব সুন্দরবনের তিনটি স্থানকে অভয়আশ্রম ঘোষণা এবং করমজলে কুমির প্রজনন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়