প্রত্যাশা প্রমিতি সিদ্দিক: মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র বেসামরিক বাহিনীর রোহিঙ্গাদের উপর নজিরবিহীন নৃশংস কর্মকান্ড নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা ‘ফরটিফাই রাইটস’ এবং গণহত্যা প্রতিরোধ সংস্থা ‘সিমন-স্কজড্ট’ বুধবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
মিয়ানমার সরকার গণহত্যার কথা অস্বীকার করলেও রোহিঙ্গাদের দ্বারা কোনো অপরাধ বা হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়নি বলে নিশ্চিত করা হয়েছে রিপোর্টটিতে। রিপোর্টটিতে সুচি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, গণহত্যার বিপক্ষে শক্ত করে এর বিরোধীতা করতে না পারায় আন্তর্জাতিকভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। ৪৯ বছর পরে পাওয়া গণতন্ত্রকে সমুজ্জ্বল রাখতে তার সামরিকদের অফিসারদের সমালোচনা করা উচিত ছিল এমনটিই উঠে এসেছে রিপোর্টটিতে।
এদিকে রিপোর্টটি পাওয়ার পর ভ্রমণ এবং অর্থসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মার্কিন সিনেটররা মিয়ানমার সরকারকে চাপ প্রয়োগ করছে বলে জানায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তবে এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ২৫ আগস্টে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৈন্যদের চালানো অপারেশনকে তাদের নিরাপত্তার কারণ হিসেবে অভিহিত করেছে। গত মঙ্গলবার সুচির সাথে বৈঠকের পর টিলারসন সাংবাদিকদের জানায়, তিনি রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অনুরোধ করবেন মিয়ানমার সেনাপ্রধানকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার আর্মি প্রধানের সাথে কথা বলার উদ্দেশ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন বুধবার বিষয়ে রওনা দেন। টিলারসন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনের পর মিয়ানমারের মিলিটারিদের দ্বারা নির্যাতিত রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে যাওয়ার যাওয়ার কথা রয়েছে। মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হেং এর ফেসবুকে পেজে নির্যাতনের ঘটনার বিষয়ে উক্ত রির্পোট প্রকাশ করায় সফরটি করবেন টিলারসন। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :