জাফর আহমদ: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার বছরগুলোতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বল্পমেয়াদী অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার সংমিশ্রণ ঘটানো হয়। এর ফলে উৎপাদন খাতে অর্থায়ন এবং সচরাচর আর্থিক সেবার আওতায় বাইরে থাকা মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছাতে সমর্থ হয়। এতে অভ্যন্তরীন চাহিদা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে এবং এটিই মন্দা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান।
মঙ্গলবার নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাঠমু-ুতে হোটেল র্যাডিসন ব্লু-তে “ডেভেলপমেন্টাল সেন্ট্রাল ব্যাংকিং: দি বাংলাদেশ স্টোরি” শিরোনামে নিবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর চিরঞ্জীবি নেপাল। অনুষ্ঠানে নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আতিউর রহমান বলেন, গত সাত-আট বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ স্থানান্তরের বিভিন্ন পথ তৈরি ও উন্নয়ন এবং সামষ্টিক আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য ব্যাপকভিত্তিক আর্থিক অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি উৎপাদন খাতে অর্থায়ন উৎসাহিত করেছে। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি এবং মূদ্রা নীতির মাধ্যমে করণীয় নির্ধারণ করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভূক্তির উদ্যোগ-কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, এবং সবুজ অর্থায়নের ওপর বিশেষ মনযোগ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন পল্লী অঞ্চলে যায়, প্রথাগত ও অপ্রথাগত আর্থিক সেবাদানকারিরা যেন একসঙ্গে কাজ করে সে ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি সেবা প্রদানের প্রক্রিয়াগুলোকে ডিজিটালকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের ওপরও বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। এর ফলে বৈশ্বিক মন্দা মোকবিলা করা করা সম্ভব হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :