ইসমাঈল হুসাইন ইমু : বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি-বেপজা জারীকৃত ‘বন্ড-টু-বন্ড ট্রান্সফার’ গাইডলাইন বিনিয়োগ নীতির জন্য সাংঘর্ষিক এবং এতে প্রকৃত বিনিয়োগকারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও এতে বিদেশী বিনিয়োগকারিরা নিরুৎসাহিত হতে পারে।
জানা যায়, বাংলাদেশের রপ্তানী প্রতিযোগী দেশসমূহ যখন বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিনিয়োগ-বান্ধব শিথিল নীতি করছে, তখন বেপজা এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে যা বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ জটিল হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের। সরকার বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি আইন ১৯৮০ প্রনয়ন করেছে বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ সহজ করতে যা দেশের রপ্তানী বৃদ্ধি করবে। এনবিআর কাষ্টমস আইন ১৯৬৯ এর আওতায় বন্ড সুবিধা দিচ্ছে যা অত্যন্ত অগ্রসরমান ব্যবস্থ্যা হিসাবে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিয়েছে। এ ব্যবস্থায় রপ্তানীমুখী শিল্পকারখানার জন্য বিরাট সুবিধা করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এসব সুবিধার ফলে এদের উৎপাদন খরচ কমে সক্ষমতা বেড়েছে।
এ ব্যাপারে একজন পদস্থ কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, আন্ত-বন্ড সুবিধা সুসম উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য্য। এই সুবিধা সুষম অপারেশন, এবং উতপাদন প্রক্রিয়াকে উপযোগী রাখতে সহায়তা করে থাকে। তিনি আরও বলেন, এনবিআর এবং এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আন্ত-বন্ড সুবিধা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুনির্দ্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করেছে যা প্রমাণিত ও ত্রুটিমুক্ত।
সংশ্লিষ্টরা ভুক্তভোগিরা জানান, বেপজা কোন পক্ষের সাথে আলোচনা ছাড়াই বন্ড-টু-বন্ড ট্রান্সফার গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে- যাতে কিছু আন্ত-বন্ড সুবিধাও স্থগিত করা হয়েছে যা আইনের পরিপন্থী, বৈষম্যমূলক এবং সরকারের বিনিয়োগ নীতির সংগেও সাংঘর্ষিক। এমনকি এই গাইডলাইন ইপিজেড এ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে জানানো পর্যন্ত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দাবি করেছে এভাবে বেপজা কর্তৃক প্রণয়ন করা গাইডলাইন শুধু বিতর্কিতই নয়, হটকারীও বটে। বেপজা জারীকৃত বন্ড-টু-বন্ড ট্রান্সফার গাইডলাইন সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং অপ্রয়োজনীয় ও বটে। কারণ, কাষ্টমস আইনে এটি এনবিআরের এখতিয়ার। বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, বেপজা এবং এনবিআর উভয়কেই খেয়াল রাখতে হবে যাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানীমুখী পরিবেশ বহাল থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :