চীনকে আটকাতে জোট করছে চারটি দেশ
অরিজিৎ দাস চৌধুরি, কলকাতা থেকে: নিঃশব্দ বিপ্লবের সাক্ষী থাকল আসিয়ান বৈঠক। ম্যানিলায় বৈঠকের ফাঁকেই নতুন অঞ্চলকে কেন্দ্র করে নতুন চতুর্ভুজ গঠনের কাজ শুরু হলো। অত্যন্ত গোপনে সম্ভাব্য জোটের নীল নকশা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বৈঠকের ফাঁকে আলাদা করে আলোচনা হলো দুই দেশের শীর্ষ আধিকারিকদের। কূটনীতিতে যা রীতিমতো অভূতপূর্ব।
ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় এক মজুবত অক্ষ তৈরিতে অভূতপূর্ব উদ্যোগ নিল দুনিয়ার অন্যতম সেরা চার শক্তি। আসিয়ান বৈঠককে ব্যবহার করেই শুরু হলো সেই আলোচনা। কেন এই কৌশল? প্রকাশ্যে এমন জোটের কথা স্বীকার করছে না কেউই। তবে চীনা ড্রাগনের টুঁটি চিপতেই এমন কৌশল তা অনেকটাই স্পষ্ট ৷
চীনকে চারদিক দিয়ে ঘেরার লক্ষ্যে তৈরি এই পরিকল্পনা ৷ এতে চীন সাগরের বিভিন্ন অংশে নজরদারির সুবিধা ৷ পানি, স্থল ও আকাশে একে অন্যকে সাহায্য করবে চার দেশ ৷
ম্যানিলার একটি হোটেলে এই জোটের প্রাথমিক আলোচনার পরই শুরু হয় মোদি-ট্রাম্প বৈঠক। আলোচনায় কি গুরুত্ব পাব, তা ঠিক হয়ে গিয়েছিল তখনই। বৈঠকের পর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বা দুনিয়ার শক্তিসাম্যে ভারতের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বার্তা, আর্ন্তজাতিক রাজনীতি ও শক্তিসাম্যে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আরও বড় ভূমিকা নিক, এমনটাই চাইছে মার্কিন প্রশাসন। এক্ষেত্রে ভারতের পাশে থাকার বার্তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের।
নির্ধারিত ৩০ মিনিটের পরিবর্তে বদলে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক গড়িয়েছে প্রায় ৫০ মিনিটে। রবিবারই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরই প্রশান্ত মহাসাগরীয় জোট ও ট্রাম্পের বার্তায় ভারতের গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণিত হলো বলে মত কূটনীতিকদের।
আনিস/
আপনার মতামত লিখুন :