মীর আবদুস সবুর আসুদ : খন্দকার আলমগীর হোসাইন : এখন আমাদের পরিকল্পনা হলো আমরা আলাদা নির্বাচন করব। সে হিসেবে আমরা কাজ করছি। কার সাথে, কীভাবে জোট হবে, সে বিষয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। এটা আমাদের অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত। নির্বাচনের আগে আগে আমরা আদৌ জোট করব কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। মনে রাখতে হবে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্ততি নিচ্ছে, পরেরটা পরে দেখা যাবে। সাংগঠনিকভাবেও আমাদের এটাই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সারা বাংলাদেশে দলের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য নির্বাচন কারা করবেন তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ চলছে। যেখানে একাধিক প্রার্থী আছে, তুলনামূলকভাবে যার অবস্থান ভালো, তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। এরশাদ সরকারের উন্নয়নের কথা মানুষ এখনো বলে। মানুষ মনে করে, এরশাদ এবং ব্রিটিশ আমলেই দেশে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে। সে কারণে আমরা নির্বাচনে ভালো ফল করব বলে আশাবাদী। আমাদের প্রার্থীরা এলাকায় এলাকায় গণসংযোগ করছেন। মানুষের কাছে যাচ্ছেন। ভালো সাড়া পাচ্ছি আমরা। দুই দল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জনগণ নতুন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচন নিয়ে এখনো অনেক কিছু অস্পষ্ট। নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা কীভাবে হবে? সরকার বলছে, নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকবে সব ক্ষমতা। থাকলে তারও কোনো রূপরেখা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সব মিলিয়ে সামনে একটা চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন হবে।
পরিচিতি : প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় পার্টি
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :