রাশিদ রিয়াজ : ব্রিটেনে উন্নত প্রযুক্তির অপব্যবহার ও অনলাইন ব্যাংকিং জালিয়াতি বৃদ্ধি পেয়েছে ২২৬ ভাগ। আর টেলিফোন ব্যাংকিং জালিয়াতি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭৮ ভাগ। জালিয়াতি ব্রিটেনে খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এধরনের জালিয়াতি প্রতিরোধ ও তদারকি করে এমন তিনটি প্রতিষ্ঠান ক্রো ক্লার্ক হোয়াইটহিল. এক্সপেরিয়ান ও সেন্টার ফর কাউন্টার ফ্রড স্টাডিজ’এর এক যৌথ জরিপ এধরনের তথ্য দিয়ে বলেছে, জালিয়াতির জন্যে এমন বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া বিষয়টি ব্রিটিশ অর্থনীতির ওপর ১৪০ বিলিয়ন পাউন্ডের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। ফিনান্সিয়াল ট্রিবিউন

একই সঙ্গে ব্রিটেনে সরকারি খাতে জালিয়াতির ফলে ক্ষতি হচ্ছে বছরে ৪০.৩ বিলিয়ন পাউন্ড। এমনকি দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ তছরুপের পরিমাণ ২.৩ বিলিয়ন পাউন্ড। আউটসোর্সিং বা বিদেশ থেকে কাজ করে নেওয়ার পরিমাণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জালিয়াতি। প্রযুক্তি যতই উন্নত হচ্ছে, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জালিয়াতরা আরো অধিক মেধার অপব্যবহারের মাধ্যমে এধরনের জালিয়াতি করে যাচ্ছে। প্লাস্টিক কার্ড ও অনলাইন ব্যাংকিং জালিয়াতি ধারাবাহিকভঅবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন বিধি আরোপ করে এধরনের জালিয়াতি রোধ কঠিন হয়ে গেছে বলে জানান ফ্রড এন্ড আইডেন্টি সলিউশন’এর পরিচালক নিক মাদারশো।

নিক বলেন, জালিয়াতরা লজ্জাহীন ও সুযোগসন্ধানী এবং তাদের টার্গেট অবসরপ্রাপ্তদের উচ্চ মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে পেনশন জালিয়াতি করা। ক্রো ক্লার্ক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিকস এন্ড কাউন্টার ফ্রড বিভাগের প্রধান জিম গি বলেন, জালিয়াতি সমস্যা নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনৈতিকভাবে কম ক্ষমতাসম্পন্ন এবং মোটেও স্থিতিশীল নয়। দাতব্য প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে করের টাকা বা পেনশনের লভ্যাংশ, সকল ক্ষেত্রেই জালিয়াতি ঘটলেও সরকারের তরফ থেকে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের বেশ অভাব রয়েছে।

এদিকে ব্রিটেনের আরেক প্রতিষ্ঠান ক্রাইম সার্ভে ফর ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েল্স বলছে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এমন জালিয়াতির সংখ্যা এ বছরের জুন পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৩৩ লাখ। এর অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ৫৭ ভাগ ঘটে অনলাইন লেনদেনে। অন্তত ২৫ লাখ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড লেনেদেনে। এমনকি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রেও এধরনের ঘাপলা ঘটে। তবে ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস বলছে গত বছর জালিয়াতি ৪ ভাগ বৃদ্ধিতে এধরনের অপরাধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৯ জন এবং একই সঙ্গে জালিয়াতি মামলা হ্রাস পেয়েছে ১২ ভাগ।