এনামুল হক : যেখানে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে চাপ দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়, সেখানে আমরা আর কে। বিচারকদের মধ্যে যেভাবে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে, এটা জাতির জন্য লজ্জার। টিভিএনএকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে জোরপূর্বক বিদেশে পাঠানো এবং পদত্যাগে বাধ্য করা নজিরবিহীন। এটা দেশের জন্য অশুভ ইঙ্গিত। এ ঘটনায় দেশে আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার এবং শাসনতন্ত্র রক্ষাকবজ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।
ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, একটি দেশে সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের রক্ষক। কিন্ত সেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান এস কে সিনহাকে অপমানজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। পদত্যাগের ঘটনায় সিনহা বাবুর কিছু হয়নি। ক্ষতি যা হওয়ার তা দেশের এবং বিচার বিভাগের হয়েছে।
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগে তাকে বিদায় দেওয়া কতটা আইনসম্মত হয়েছে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, সরকার যদি মনে করে সিটিং চিফ জাস্টিসের বিরুদ্ধে মামলা করা ঠিক হবে না তাহলে জানুয়ারি মাসের পরে মামলা করা যেত। কারণ কিছুদিন পর তার মেয়াদ শেষ হয়ে যেত।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে যেভাবে বিদায় দেওয়া হয়েছে তা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এর মানে এই নয় সিনহা বাবু অপরাধ করেননি। তিনি অপরাধী কি না এটা বিচারের মধ্যমে প্রমাণিত হবে। শুধু কিছু কাগজ দেখালেই কারো বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হয় না। প্রধান বিচারপতি দেশত্যাগের পর তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরাধী হলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলা করা হোক। তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। কিন্তু তা না করে যে প্রক্রিয়ায় এস কে সিনহাকে পদ ছাড়তে হল এতে সুপ্রিম কোর্ট এমনকি গোটা বিচার ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এটা ভবিষ্যতে আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আপনার মতামত লিখুন :