শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০১:৩৯ রাত
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০১:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

থানাগুলোকে নারী ও শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে: আইজিপি

সুজন কৈরী : নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিক। বাংলাদেশ পুলিশের থানাগুলোকে পর্যায়ক্রমে নারী ও শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা ইতিমধ্যে অনেকাংশে বেড়েছে।

সোমবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষায় স্থায়ী উদ্যোগ’ (ঝঁংঃধরহধনষব ওহরঃরধঃরাব ঃড় চৎড়ঃবপঃ ডড়সবহ ধহফ এরৎষং ভৎড়স এবহফবৎ ইধংবফ ঠরড়ষবহপব (এইঠ) (ঝঞঙচ-এইঠ))- প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি স্পেশাল ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বকারী মিয়া সেপ্পো (গরধ ঝবঢ়ঢ়ড়) এবং বাংলাদেশে ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি আইওরি ক্যাটো (ওড়ৎর কধঃড়)।

আইজিপি বলেন, পুলিশ বা অন্য কোন একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দেশী-বিদেশী এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন।

মিয়া সেপ্পো জেন্ডার সহিংসতা নির্মূলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার মধ্যে দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুলিশী কর্মকান্ডের সাফল্য কামনা করেন। আইওরি ক্যাটো বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ করে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ অর্জনে সক্ষম হবে।

নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তদন্তে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বাড়ানো এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুলিশ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। আগামী ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি চলবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানাসহ দেশের ৪টি জেলার ৫১টি থানায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় ১২টি উইমেন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। বগুড়া জেলায় আরো ৩টি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেলাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নির্যাতিত নারী ও শিশুকে আইনি সহায়তা ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়