স্পোর্টস ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ঢুকে আশ্চর্যই হতে হলো। বাংলাদেশের দুই সেনসেশনাল ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান যে টুইট করেছেন পশতু ভাষায়। পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের ভাষা হচ্ছে এই পশতু। যাদের কাছ থেকে সংগ্রাম করে, বুকের রক্ত ঝরিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা অর্জন করতে হয়েছে সেই পাকিস্তানেরই একটি ভাষা ব্যবহার করে সাকিব-তামিম কি ভাষাশহীদদের মর্যাদা একটু হলেও ক্ষুণ্ণ করলেন না?
.পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য অনুযায়ী দেশটির শতকরা ১৫.৭২ শতাংশ মানুষ পশতুতে কথা বলে। আর উর্দুতে বলে ৭.৫৭ শতাংশ মানুষ। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আদিবাসী অঞ্চলের সব মানুষেরই ভাষা পশতু। আর খাইবার পাখতুন প্রদেশের বেশিরভাগ মানুষ এই ভাষাটিই ব্যবহার করে। প্রদেশটির রাজধানী পেশোয়ার। আর পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) 'পেশোয়ার জালমি' দলটি এই রাজধানীরই প্রতিনিধিত্ব করে। সেই দলেই খেলবেন সাকিব ও তামিম দুজনেই। প্রসঙ্গত পিএসএল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অনুমোদিত বৈশ্বিক টি-টুয়েন্টি লিগ। এবছরের আসরে প্রথমবার খেলেছেন সাকিব-তামিম, পেশোয়ার জালমির হয়ে । ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে পিএসএলের তৃতীয় আসর।
রোববার পিএসএলের তৃতীয় আসরের জন্য খেলোয়াড়দের নিলাম শেষ হয়েছে। সাকিবকে পেশোয়ার জালমি আগে থেকেই ধরে রেখেছিল। তামিমকে ছেড়ে দিয়েও আবার কিনে নিয়েছে দলটি। এই দুজন ছাড়াও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোস্তাফিজুর রহমানও খেলবেন পিএসএলে। কিন্তু দেশের দুই কৃতি সন্তান পশতু ভাষায় টুইট করে তৈরি করলেন বিতর্ক।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য পাকিস্তানের ভাষাপ্রীতি নতুন বিষয় নয়। এর আগে নারী দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন উর্দুতে কথা বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। এই কাজটি তিনি করেছিলেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ২০১৫ সালে পাকিস্তান সফরের সময়। সরকারের প থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ওপর সবসময়ই নির্দেশ আছে যেন খেলোয়াড়রা পাকিস্তান সফরে উর্দু এবং ভারত সফরে হিন্দি বলা পরিহার করেন। নারী দলের তৎকালীন ম্যানেজার শফিকুল হকের দায়িত্ব ছিল দোভাষী হিসেবে কাজ করার। তা সত্ত্বেও সালমা মিডিয়ার সামনে উর্দুতে কথা বলেছিলেন। তাই সেসময় বোর্ডের প থেকে সাবধান করে দেয়া হয় সালমাকে।-পরিবর্তন ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :