শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ০৭:২৫ সকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ০৭:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভোলায় শিশু গৃহকর্মীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

অচিন্ত্য মজুমদার, ভোলা : ভোলার মনপুরা উপজেলায় সুরমা (৯) নামের এক শিশু গৃহকর্মীকে অমানুসিক নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হয়ে গত গত বৃহষ্পতিবার থেকে সে ভোলা সদর হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহত সুরমার বাড়ী তজুমদ্দিন উপজেলার চাদঁপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে। মনপুরা উত্তর সাকুচিয়া ভোকেশনাল স্কুল শিক্ষক সাইদুর রহমানের স্ত্রী মিনু বেগম সুরমার গায়ে লোহার খুনতি ও মারধর করে এ অমানুসিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেন সুরমার মা আনোয়ারা বেগম। এ ঘটনায় সুরমার মা বাদি হয়ে অভিযুক্ত মিনু বেগমকে প্রধান আসামী করে নারী ও মিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।

সুরমার পরিবারের সদস্যরা জানান, তজুমদ্দিন উপজেলার চাদঁপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কেয়ামুল্যাহ গ্রামের মুনাফ আলী বাড়ীর মৃত ফজলুল রহমানের মেয়ে সুরমা। তার বাবা ফজলুর রহমান দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থেকে ৩ বছর আগে মারা যায়। সে জীবিত থাকাকালীন সময়ে পরিবারের ভরণপোষনের জন্য আশেপাশের বাড়ীতে কাজ করে সংসার চালাতো স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। স্বামীর মৃত্যুর কয়েক মাস পর আনোয়ারা বেগম পুনরায় অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মা আনোয়ারা বেগমের বিয়ের পর গত ১০ মাস আগে মেয়ে সুরমাকে পড়ালেখা ও ভরণপোষন করার আশ্বাসে পাশের বাড়ীর হাজী দিলাওয়াত মাস্টার তার মনপুরার উপজেলায় মেয়ে মিনারা বেগম (মিনু) এর বাসায় কাজে দেয়। মিনু বেগমের বাসায় কাজ করার পর থেকেই সুরমার সাথে তার মা আনোয়ারা বেগমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

গত বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) সকালে মা আনোয়ারা বেগম মেয়ে সুরমার মনপুরা থেকে তজুমদ্দিন আসার খবর পেয়ে দিলাওয়াত হাজীর বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে মর্মান্তিক অবস্থায় মেয়ে সুরমাকে দেখতে পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন মা আনোয়ারা বেগম। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় সুরমাকে প্রথমে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ও পরে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সরেজমিনে ভোলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সুরমার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। গরম লোহার খুনতি দিয়ে সুরমার মাথা, মুখসহ বিভিন্ন অঙ্গপতঙ্গে ক্ষত চিহ্ন। এছাড়াও তার শরীরে অসংখ্য দাগ রয়েছে যা কয়েক মাস আগের বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সুরমাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ভারসাম্যহীন অবস্থায় জানায়, আমারে মিনু কাকি মারছে। আমারে গরম তালাসি দিয়া ছ্যাকা দিছে। আগেও পিডাই তো। আমার সারা শরীরে পিডাইছে..। এসব কথা বলে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন সুরমা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়