শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে ছয় জন নারীকে ধর্ষণ করে সেসেব ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ার অভিযোগে থানায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদারকে (২২) গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে ভুক্তভোগী নারীদের ওইসব আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখনো ছড়ানো হচ্ছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, যাঁরা ভুক্তভোগী নারীদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন, তাঁদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। মুঠোফোনের মাধ্যমে ভিডিওগুলো হাজার হাজার মানুষের হাতে চলে গেছে। এগুলো বন্ধ করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়।
আরিফ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী নারীদের একজন গত শনিবার বিকেলে আরিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। একই দিন আরিফকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদি হাসান গতকাল বলেন, আরিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বেসরকারি সংস্থা এসডিএসের পরিচালক রাবেয়া বেগম বলেন, এখনো পুলিশ কেন আরিফকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না। এ ঘটনার পর তিনি পালালেন কীভাবে? এত বড় একটি সাইবার অপরাধ হলো; তারপরও ভিডিওগুলো বাধাহীনভাবে ছড়ানো হচ্ছে। এখনই ভিডিওগুলো জব্দ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :