শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৪১ সকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাম্প্রদায়িক হামলা : ভয়ের কারণ যে কারণে

রানা দাশগুপ্ত : ২০১১ সালের পর থেকে দেশের বিভিন্ন সংখ্যালঘু এলাকায় যে সব সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে, ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননাÑ এ রকম খবর প্রকাশ করেই এ ধরনের হামলাগুলো হয়ে এসেছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সবগুলো ঘটনাতেই দেখা যায়, ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোনো একটি চক্র এ ধরনের কর্মকা- করে আসছে। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের আইডি ব্যবহার করে এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে।
একটি চক্র থাকে যারা এ ধরনের স্ট্যাটাস ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করে লিফলেট আকারে কাগজে ছাপিয়ে বিলি করে থাকে। অন্য আরেকটি চক্র আছে, যারা এটাকে ব্যবহার করে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে নির্দিষ্ট একটি দিনে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ ঘটনাগুলো বেশ কয়েকবার ঘটেছে। প্রথম দিকে এই ঘটনাগুলো যখন শুরু হলো তখনই আমরা সরকারকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এবারই প্রথম গত কয়েক বছরের মধ্যে সরকার এবং প্রশাসন এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্তত ঘটনার সময়ে একটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা, হামলকারীদের ছত্রভঙ্গ করা এবং পরবর্তী যে ব্যবস্থাগুলো প্রশাসন নিয়েছে তা অবশ্যই সরকারের ইতিবাচক।

রামু এবং অন্যান্য জায়গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কিছুটা হলেও হয়েছে, কিন্তু প্রশ্নটি হলো পুনর্বাসনটা যথার্থ হবে না, যদি না মানুষ এই কর্মকা-গুলো না দেখে। রংপুরের ক্ষেত্রে সেটা হয়েছে। যে বিষয়টি এখন সবচেয়ে বেশি জোড় দেওয়া দরকার এবং এখনো পর্যন্ত যে বিষয়টি হচ্ছে না সেটা হলো ফেসবুকের এই ফেক পোস্টগুলো আসলে কারা দিচ্ছে? কোন চক্র, কীভাবে দিচ্ছে তা প্রশাসনকে সুনির্দিষ্টভাবে বের করতে হবে। কারণ আজকে যদি এটা শনাক্ত করা যেত এবং অপরাধীদের যদি আইনের আওতায় এনে খুব কম সময়ের মধ্যে বিচার করা যেত তাহলে মানুষ এই চক্রান্তগুলোকে জানতে পারত। আমাদের কাছে ভয়ের আরও একটা দিক হলো সামনে যে জাতীয় নির্বাচন তা নির্বাচন নিয়ে একটি মহল এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে, যা অতীতেও হয়েছে। এই চক্রটি এ ক্ষেত্রে সফট টার্গেট হিসেবে বেছে নেয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে। অতএব সেখানে আমরা মনে করি যে, ফেসবুকের এই ফেক পোস্টিং করা চক্রটিকে যত দ্রুত সম্ভব শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। নাসিমনগরের ঘটনায় এই ফেক পোস্টিং কারা করেছিল এর মধ্যে দু-একটা নাম কিন্তু প্রকাশ করা হয়েছে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক বা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না বা দৃশ্যমানভাবে আমাদের জানা নেই। যারা এই ফেক পোস্টিংগুলো করছে তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। চক্রটিকে বের করা না গেলে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ
মতামত গ্রহণ : সাগর গনি
সম্পাদনা: আশিক রহমান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়