সাক্ষাৎকার নিয়েছেন : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
বিএনপির কিসের আন্দোলন? তাদের কাছে কোনো এজেন্ডা নেই। জাতির কাছে তারা এমন কোনো কিছু উপস্থাপন করতে পারিনি যে, জনগণ তাদের ভোট দেবে। ২০১৪ সালের আগে ২০১৩ সালে যেটা করতে চেয়েছে, এবারও যদি করতে চায়, আমরাও এসব মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত আছি। আন্দোলন কীভাবে মোকাবেলা করতে হয়, কীভাবে জ্বালাও-পোড়াও নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সেটা আওয়ামী লীগ জানে। যাদের জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা থাকে না, তখন তারা বোমাবাজির রাজনীতি করে।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তারা যদি সন্ত্রাসের পথে চলে যায়, অতীতে যেভাবে মোকাবেলা করেছি, সেভাবে মোকাবেলা করব। বিএনপি এখন বোমানির্ভর দলে পরিণত হয়েছে। বোমা সন্ত্রাস জনগণ পচন্দ করে না। সব রকম প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে আমরা নির্বাচন করব। আমাদের ডাকে যদি কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে নীতি অবলম্বন করব। গণতন্ত্রের ও সংবিধানের স্বার্থে আমরা একলা চলার নীতি অবলম্বন করব। এই ক্ষেত্রে কোনো দ্বিধা থাকবে না। গণতন্ত্র কখনো বিপন্ন হতে দেওয়া হবে না। পেট্রোল বোমার কাছে সংবিধান ও গণতন্ত্র বিপন্ন হবে না। গণত্রন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় এবং আপসহীন। এ ক্ষেত্রে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি যদি আবার পুরনো পথে ফিরে যেতে চায়, এক চুলও ছাড় দেয়া হবে না। আমরা একটা সুন্দর নির্বাচন চাই। আমরা বিএনপিকে গুরুত্ব দিতে চাই। কিন্তু কোনো হটকারী পথে গেলে তো চুপ করে বসে থাকতে পারি না। সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন চাই। বিএনপি নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে না আসা কথা বলা তাদের কলাকৌশল। আন্দোলন করব, এটা করব, সেটা করবে বলে কর্মীদের চাঙ্গা রাখছে। এগুলো কাগুজে বাঘের কণ্ঠস্বর। কাগুজে বাঘের কণ্ঠস্বর আমাদের কাছে কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। বিএনপি হচ্ছে একটা কাগুজে বাঘ। বিএনপি বোমার দিকে ফিরে যাক, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। এটা করলে তারা অস্তিÍত্ব সংকটে পড়বে। আওয়ামী লীগ এখনো বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। আমাদের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রয়েছে। বহির্বিশ্বে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বিশাল। ১০০ জন ক্ষমতাধর নারীর মধ্যে শেখ হাসিনা ৩০তম।
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :