শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহানে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ০৮:০২ সকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ০৮:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

এস এম নূরনবী সোহাগ : বর্তমান সময়কে প্রযুক্তির সোনালি যুগ বলা যায়। দিন দিন প্রযুক্তির প্রসারে পুরো পৃথিবী আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। শতবছর আগে যে-সকল বিষয় মানুষের চিন্তার বাইরে ছিল আজ তার বাস্তব প্রয়োগ মানুষ দেখছে। প্রযুক্তির হাত ধরে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সোনার বাংলাদেশও হাঁটছে ডিজিটালের দিকে। এক কথায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বুঝায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা। এই স্বয়ংসম্পূর্ণতার একটি বড় অংশ হতে পারে প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা। যেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে সময়ের স্বল্প ব্যবধানে অধিক কাজ প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কমবে সময়ের অপচয় বাড়বে অর্থনৈতিক হিসাব। এতে করে দেশের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়েও উন্নতি সাধন হবে।

তবে দেশকে ডিজিটালাইজড করার ক্ষেত্রে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে দেশের তরুণ সমাজকে। অথবা অন্যভাবে বলা যেতে পারে দেশের তরুণরাই পারে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে। কিন্তু এই সময়ের তরুণরা কি ভাবছেন বা কি করছেন সেই বিষয়ে একটু আলোকপাত করা যাক। লেখার শুরুতেই বলেছি, বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির প্রচার ও প্রসার ঘটেছে। যার দরুন, শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট সুবিধা। হাতে হাতে পৌঁছে গেছে স্মার্ট ফোন। এটা যে নেহাত্ খারাপ কিছু তেমনটি কিন্তু নয়। বরং ইন্টারনেট সুবিধার জন্য আমরা যে-কোনো তথ্য বা সমাধান মুহূর্তেই খুঁজে পাচ্ছি এই ইন্টারনেটের সহায়তায়। কিন্তু আমাদের এই তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ প্রযুক্তির এই ইন্টারনেট সুবিধাকে নেশাদ্রব্য বানিয়ে নিয়েছেন। নেশাদ্রব্য বলছি এই কারণে তারা প্রবলভাবে ইন্টারনেট দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়েছে দিন দিন। তারা যার মত গড়ে নিয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক জীবন-যাপন।

ফলে তরুণ সমাজের একটি মূল্যবান সময় ব্যাহত হচ্ছে। পারিবারিক সম্পর্কগুলোতে দেখা দিচ্ছে অশান্তি। ভেঙে পড়ছে চিন্তাশক্তি এবং কাজ করার আগ্রহ। তারা অতিমাত্রায় ফেসবুক ও অন্যান্য নিষিদ্ধ সাইট ব্যবহার করে মানসিক বিকাশ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যুব সমাজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মানবিক মূল্যবোধ। তাহলে বলা যায়, এখানে প্রযুক্তির ভুল ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেট দ্বারা আক্রান্ত এই তরুণ সমাজের অধিকাংশই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী। তাদের হাতেই থাকার কথা ছিল দেশ বদলের মূলতন্ত্র। তারা নিজেদের অজান্তেই প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে নিজেদের তরুণ শক্তিকে। তরুণ সমাজের দুই-তৃতীয়াংশ নিজেদের মূল্যবান সময় ব্যয় করছে হালের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট ফেসবুকে। আমার এক জনৈক বন্ধু, ফেসবুক দ্বারা এতটাই আক্রান্ত হয়ে পরেছিলেন যে, তার পরিবার বাধ্য হয়েই মানসিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। আমি ফেসবুক’কে খারাপ বলছি না। বর্তমানে অনেক সামাজিক কাজের উদ্যোগ এই ফেসবুকের মাধ্যমেই নেওয়া হয়। ফেসবুকের অবশ্যই অনেক ভালো দিক আছে। আমাদের সেই ভালো দিক খুঁজে বের করতে হবে।

আমরা প্রযুক্তির ভালো দিকটিই গ্রহণ করব। আমার এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় তার বুটিক ব্যবসায় চালিয়ে নিচ্ছেন এই ফেসবুকেরই মাধ্যমে। তাহলে কি দাঁড়াল, এই ফেসবুক কাউকে মানসিক ডাক্তারের কাছে পৌঁছে দেয় আবার কাউকে পৌঁছে দেয় সফলতার কাছে। আমাদের প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহার জানতে হবে, শিখতে হবে। যাতে করে নিজের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দেশের উন্নতিতে সামিল হতে পারি। বর্তমান সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ একটু একটু কারে হাঁটছে উন্নতির দিকে। বর্তমান হিসেব অনুসারে, বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ধরা হয়। তবে ২০৪১ সাল নাগাদ এই দেশ মধ্যম-উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা তরুণ সমাজ চাইলেই সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব।

আমরা দেশের প্রাণশক্তি, সে হিসেবে আমরা আমাদের স্বাবলম্বীকেই দেশের স্বাবলম্বী হিসেবে বিবেচনা করতে পারি অনুরূপ আমাদের ক্ষতিকেই দেশের ক্ষতি হিসেবে ধরতে পারি। বর্তমানে আইসিটি ডিভিশন-এর নানা উদ্যোগ দেশের তরুণ সমাজকে প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন কাজে প্রশিক্ষণ দিয়ে চলছে। পাশাপাশি তৈরি করছে অনলাইনভিত্তিক কাজের জায়গা। এতে করে তরুণরা পছন্দসই কাজের উপরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সেই কাজেই নিজেকে দক্ষ কর্মী হিসেবে প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছে। অনলাইনভিত্তিক কাজে বাংলাদেশের সাফল্য বর্তমানে চোখে পড়ার মত। প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এই উদ্যোগকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আসুন, আমরা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করি। ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের দেশকে আবিষ্কার করি ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপে।

n লেখক :শিক্ষার্থী, বিইউবিটি মিরপুর, ঢাকা।েইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়