মবিনুর রহমান : বিমানের জ্বালানি তেল দ্রুত ও নির্বিঘ্নে সরবরাহের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এছাড়াও প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পিতলগঞ্জ এলাকায় একটি জ্বালানি তেলের ডিপো ও জেটি নির্মাণ, তিন হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি স্টোরেজ ট্যাংক, পাম্পিং জেটি, জেনারেটর অফিস, পাইপলাইন পরিচালনা ও নিরাপত্তার জন্য স্ক্যাডা অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবস্থা এবং ডিটেকশনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থা। গত মঙ্গলবার বিপিসি ও নৌবাহিনীর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রকল্পটিতে মোট ২২৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয় হবে। শুধু পাইপলাইন স্থাপনের জন্যই ব্যয় হবে ১৮৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। পাইপলাইন আট ইঞ্চি ব্যাসের ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ । আগামী বছরের নভেম্বরের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে আমা করছেন বিপিসি কর্মকর্তরা।
বিপিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এম আর এম রিয়াজ রহমান জানান, দেশে বর্তমানে বছরে জেট এ-১ বিমানের তেলের চাহিদা প্রায় চার লাখ মেট্রিকটন। চাহিদার অধিকাংশ তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান স্থাপনায় মজুদ করা হয়। পরে সেখান থেকে কোস্টাল ট্যাংকার বা জাহাজযোগে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা ডিপোয় সরবরাহ করা হয়। আবার গোদনাইলের পদ্মা ডিপো থেকে ট্যাংক লরিযোগে বিমান বন্দর সংলগ্ন বিপিসির কুর্মিটোলা অ্যাভিয়েশন ডিপোয় সরবরাহ করা হয়। কুর্মিটোলা ডিপো থেকে হাইড্রেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিমান বন্দরে উড়োজাহাজে তেল সরবরাহ করা হয়।
তিনি আরো জানান, পাইপলাইনটি রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজসংলগ্ন পিতলগঞ্জ থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা অ্যাভিয়েশন ডিপো পর্যন্ত স্থাপন করা হবে।বিপিসি তিনটি তেল বিপণন কোম্পানির মধ্যে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (পিওসিএল) মাধ্যমে বিভিন্ন বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের জ্বালানি তেল জেট এ-১ সরবরাহ করে থাকে। তবে বিমানে ব্যবহৃত তেলের সিংহভাগ সরবরাহ করা হয় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
আপনার মতামত লিখুন :