অধ্যাপক ড.এ কে আজাদ চৌধুরী : দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ব্যাপকভাবে যে ইয়াবা সিন্ডিকেট হচ্ছে, এটা খুবই মারাতœক একটা বিষয়। ১৯৬০ সালে আমিরিকান বিশ্ববিদ্যালয় , ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতো হিবটিজম এবং মারিওয়ানা এসবের অপয়া পড়েছিল। তখন অনেক মেধাবি ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষক এসবের সাথে জড়িত হয়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল একটি প্রজন্মের প্রায় পুরো অংশ। যদি ইয়াবা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রবেশ করে তাহলে এই মেধাবি ছেলে-মেয়েরা ডিরেইল হয়ে যাবে, টক্সিকেটেড হয়ে তাদের প্রফেশন, পড়াশুনা এবং তাদের সোস্যাল লাইফ ধ্বংস হবে, যা খুবই খারাপ ব্যাপার হবে। তাই এট কে গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত । ইয়াবার যত ফ্রি এ্যাকসেস হচ্ছে চেষ্টা করছে সরকার, পুলিশও তৎপর, র্যাবও তৎপর । কিন্তু এই ইয়াবার অধিকাংশ উৎস হচ্ছে মায়ানমার থেকে। মায়ানমারের অনেক রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি এই ইয়াবার সাথে সম্পৃক্ত। তারা এগুলো বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে এবং টাকা উপার্জন করছে। এবং তারা চাচ্ছে এই ইয়ারা পুরো দেশে সরিয়ে দিতে। এটা শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রন করা উচিত। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে ইয়াবা কন্ট্রোল, চোরাচালান কন্ট্রোল, রোহিঙ্গা ইস্যু সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য গিয়েছিলাম । কতটুকু সফল হয়েছে জানিনা । তবে খুব চেষ্টা করেছি। এই ইয়াবা থেকে জাতিকে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে মুক্ত করতে হলে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এর জন্য তিনটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রথমত ইয়াবার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে , দ্বিতীয়ত তাদের পুনর্বাসন ভালভাবে করতে হবে, যারা ইয়াবা ট্রেডের সাথে জড়িত। তৃতীয়ত হতাশা ও জীবন সম্পর্কে দুশ্চিন্তা বন্ধ করতে হবে। সুতরাং সব দিক থেকে শিক্ষাঙ্গনকে সর্বনাশা ইয়াবার কবলমুক্ত রাখতে হবে।
পরিচিতি : সাবেক চেয়ারম্যান, ইউজিসি ও সাবেক ভিসি, ঢাবি.
মতামত গ্রহণ : মোহাম্মদ মহসিন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :