মে. জে. (অব.) আব্দুর রশীদ : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বসবাস করছে বিদেশী নাগরিকরা। তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ চক্রে। যে কেনো বিদেশী লোকই অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান অপরাধ। তারা নিজেদেরকে লুকিয়ে, নাম বদলিয়ে এই অপরাধের সাথে জড়িত হচ্ছে। তাদের একটা অপরাধ চক্র আছে। এই অপরাধ চক্রটি বাংলাদেশী ও বিদেশী মিলেই গঠিত হয়েছে। এসব ধরনের চক্রগুলো দেশি-বিদেশী একসাথে না হলে অপরাধ সংঘটিত করা সম্ভব হয় না। এই চক্রটি বিদেশীদের নাম ভাঙিয়ে বড় বড় অপরাধ চক্রের সাথে কাজ করে। এই মূহুর্তে যেটা দরকার তা হল, আইনগত ব্যবস্থা। বাংলাদেশে এই সম্পর্কিত যথেষ্ট আইন আছে। বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানের বিরুদ্ধে যেমন আইন আছে, তেমনি প্রতারণার বিরুদ্ধেও আইন আছে। বাংলাদেশের মাটিতে যাদের কূটনৈতিকভাবে থাকার বৈধতা নাই, এরকম কোনো বিদেশী যদি বাংলাদেশে অপরাধ করে, তার বিচার বাংলাদেশের আইনে হওয়ার বিধান আছে। এবং সেই অনুযায়ী তাদের শাস্তি যত দ্রুত কার্যকর করা সম্ভব তা করতে হবে। অপরদিকে বাংলাদেশে বিদেশীদের অবৈধ অবস্থান যদি বন্ধ করা যায়, তাহলে এই অপরাধ গুলো কমে যাবে। আর বাংলাদেশী যারা এর সাথে সম্পৃক্ত আছে, তাদেরকেও সঠিক আইনের আওতায় এনে বিচার করে শাস্তি দেওয়া উচিত। যারা এই কাজটি করছে তারা কেউ আইনের বাহিরে নয়। সাথে সাথে আমাদের জণগনকেও সচেতন হতে হবে। এসব ঘটনার সম্পর্কে মানুষ যতবেশি অবগত থাকবে এই ধরনের অপরাধ ততটা কমে যাবে। এই অপরাধী চক্রের ফাঁদে পা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। একজন লোক ফেসবুকে পরিচয় হলো আর বলল, টাকা দিলে ইউরোপ, আমেরিকায় নিয়ে যাবে এটা বিশ্বাস করব কেন? মোট কথা, আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
পরিচিতি : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :