ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন : বিদেশি প্রতারক চক্রের দেশিয় কিছু এজেন্ট থাকে। একটা দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলার উপর নির্ভর করে অনেককিছু। যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়, আইন প্রয়োগে যখন গাফিলতি থাকে, তখনই এই ধরনের চক্র মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বিদেশি কোনো চক্র দেশিয় এজেন্ট ছাড়া কোনো মুভ করতে পারে না। এদের সাথে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা অংশও এর সাথে জড়িত থাকতে পারে। খবরে এসেছে আমাদের পুলিশ বাহিনীর একটা অংশ এই অপরাধের সাথে জড়িত। আমি উদাহরণ স্বরূপ বলি, আমার ছোট বোনের বাসায় একজন এসআই ভাড়া থাকেন। এই ভাড়া নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, ‘স্যার, অপরাধীদের আমরা পোষী।’ এতে প্রকাশ পায়, যার অপরাধ দমন করার কথা, তার মেন্টালিটি কোথায়? মিরপুরে একটা চায়ের স্টলে পুলিশকে চাঁদা দেয়নি বলে সেই চায়ের দোকানদারকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এ রকম আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে। মূল সমস্যাটা দেশের শাসন ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। বিচারহীনতার সংস্কৃতির এর সাথে জড়িত। সঠিকভাবে যদি বিচার পাওয়া যেত, মানুষ যদি দেখত যে অপরাধ করে পার পাওয়া সম্ভব নয়, তাহলে তারা ভয় পেত। অনেক সময় এই সকল অপরাধীকে আইনের আশ্রয়ে আনা যায় না। আবার আনলেও বিচার করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। যার জন্য এরা সহজে পার পেয়ে যায়। যারা ধরা পড়েছে তারা সামান্য। আরও বহু শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। কিছুদিন আগে পেপারে এসেছে, ইন্ডিয়ান নাগরিক এসে ভুয়া কোম্পানি খুলে টাকা নিয়ে গেছে। যতই আইন করা হোক না কেন, যতদিন পর্যন্ত পুলিশের ঘুষ প্রবণতা, অপরাধ প্রবণতা না কমে, ততদিন পর্যন্ত এই সকল অপরাধ বন্ধ করতে পারবেন না। যতই আইন করা হোক জনগন তার সুফল ভোগ করতে পারবে না।
পরিচিতি : আইনজীবি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :