শিরোনাম
◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৩৩ সকাল
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী হলেও সুফল পাচ্ছে না জনগণ

নাফরুল হাসান : গেলো কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী থাকার সুফল দেশের জনগণ না পেলেও, সরকার বলছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিপিসি তার অতীতের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে। সরকারের দাবিগেলো দু'বছরের লাভের টাকা জ্বালানি তেল খাতের নতুন অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু, বিশ্বব্যাংক ও বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, বিপিসি'র আর্থিক লাভ ক্ষতির হিসেবসহ এই খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যবস্থাপনা গত ত্রুটি দূর করতে হবে। প্রয়োজনে আর্থিক লেনদেনের আন্তর্জাতিক মানের নিরীক্ষারও তাগিদ দিচ্ছেন তারা।

দেশের একমাত্র তেল পরিশোধনাগার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের বর্তমান সক্ষমতা রয়েছে ১৫ লাখ মেট্রিক টন তেল পরিশোধনের। যদিও, দেশের বাৎসরিক চাহিদা পৌঁছেছে ৬০ লাখ মেট্রিকটনে। সক্ষমতা বাড়াতে সনাতন এই ইউনিটটির পাশেই ৩০ লাখ মেট্রিকটন পরিশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন একটি ইউনিট নির্মাণে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান টেকনিপের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।

তদারককারী প্রতিষ্ঠানের দাবি নতুন ইউনিট চালু হলে প্রতি বছর দেশের সাশ্রয় হবে কমবেশি ৩০০ মিলিয়ন ডলার। রিফাইনারীর এমডি বলেন, আমাদের রপ্তানি প্রবণতা কমে আসবে। আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন জ্বালানী তেল তৈরি হবে। গেলো দু'বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দরপতনের সুযোগে, দেশের বাজারে পণ্যটির দাম কমেছে মাত্র একবার। অর্থাৎ গেলো দুই অর্থবছর থেকে লাভের টাকা গুনছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিপিসি। প্রশ্ন হলো কোথায় যাচ্ছে এসব লাভ !

নসরুল হামিদ বলেন, বিপিসি যে অর্থ পাচ্ছে তা বিপিসির বিভিন্ন কাঠামো নির্মাণে খরচ করা হচ্ছে। জনগণের পিছনেই এই ব্যয় হচ্ছে। এদিকে, বিশ্বব্যাংক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের দাবি- বিপিসি'র আর্থিক স্বচ্ছতার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনাগত সীমাবদ্ধতাও দূর করতে হবে। বিপিসি প্রধানের দাবি, এসব খাত স্পষ্ট করতে প্রয়োজন নেই বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কোনো নিরীক্ষার।

এ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ বলেন, গেল বছর সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। স্বচ্ছতার অনেক অভাব আছে এখানে। অধ্যাপক মি. তামিম বলেন, পাবলিক সেক্টরে সবচেয়ে অস্বচ্ছ একটি বিভাগ। সাধারণ জনগণ এর কিছুই জানে না। বুঝতে পারে না। এমনকি অর্থ মন্ত্রণালয় নিজেও জানে না তারা কি করছে। কি অডিট হচ্ছে আমরা জানি না।

এ সম্পর্কে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমার দেশের অডিট টিম কি যথেষ্ট সক্ষম নয়! অহেতুক কেন আন্তর্জাতিক অডিট টিম দিয়ে করিয়ে কেন বেশি পয়সা দেব। এই খাতে দেশে অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সেগুলো বাস্তবায়নের জটিলতায় যাতে সুফল বিলম্বিত না হয়, সেদিকেও কড়া নজরদারি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র : সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়