সঞ্চিতা আক্তার : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিঞা জৈষ্ঠ্য বিচারপতি। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তাকেই যেন শপথ দেয়া হয়।তবে এটাও ঠিক অতীতেও বেশ কয়েকবার জৈষ্ঠ্যতম বিচারপতিকে দায়িত্ব না দিয়ে তার দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চার নাম্বার বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছে।
শনিবার যমুনা টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর নানা বিতর্ক শেষ পযর্ন্ত পদত্যাগ করলেন এস কে সিনহা। পদত্যাগের আগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ ওঠে। যে প্রক্রিয়ায় বিদায় নিলেন এস কে সিনহা তা বিচারবিভাগের ভাবমূর্তি শুভ নয় বলে মনে করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, আমাদের যেটা শেষ আশ্রয়স্থল উচ্চ আদালত তার প্রতি জনগনের আস্থায় ভীষণভাবে চীড় ধরবে। এখন হয়ত সবাই ভাববে যে বিচারপতিরা সরকারের অপছন্দনীয় রায় দিতে তারা ইতস্ততা করবেন কিনা।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানান, এভাবে উনি আজকে চলে যাচ্ছেন তা তো অবশ্যই দুঃখজনক এতে সন্দেহ নেই। তবে আমার মনে হয় উনার কোনো উপায় ছিল না। এ কারণে উনি পদত্যাগ করেছেন।
জৈষ্ঠ্য দুই আইনজীবীর মতে রাষ্ট্রপতি চাইলে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়োগ দিতে পারেন এ পদে। আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিও হতে পারেন।
ড. শাহদীন মালিক আরোও বলেন, এখন রাষ্ট্রপতি যাকে যোগ্য মনে করেন তাকে প্রধান বিচারপতির পদে নিয়োগ দিতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে রাষ্ট্রপতির উপর।
নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হলেও এস কে সিনহা বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মিত অভিযোগ সুরাহা করা উচিত বলে মনে করেন দুই আইনজ্ঞ।
ড. শাহদীন মালিক বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার জন্য আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আছে। তারা সেটা তদন্ত করবে।
আর ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ আরোও বলেন, একজন সাধারন নাগরিকের বিরুদ্ধে যেরকম কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে আইন অনুযায়ী, আমার মনে হয় প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধেও তা কার্যর করা উচিত।
তাদের মতে বিষয়টিকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা গেলে প্রমাণিত হবে কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়।
সূত্র : যমুনা নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :